ঈদে শিশুদের খাওয়াদাওয়া
শিশুদের ঈদের খুশির পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ হলো খাবারদাবার। ঈদের খুশিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শিশুদের নানা রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। তাই শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে দিন।
ঈদের শিশুর খাবার যেমন হবে
শিশুরা যেহেতু বর্ধনশীল, তাই তাদের খাবারে থাকবে বেশি পরিমাণে প্রোটিন। যেমন : মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দুধজাতীয় খাবার ইত্যাদি। এর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য থাকবে শাকসবজি।
ঈদে বেশি পরিমাণে মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে শিশুদের পায়খানা শক্ত হয়ে পেটে ব্যথা, পেট ফোলা, বমি, খাবারে অরুচি হতে পারে। তাই এ সময় শিশুদের খাবারে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার রাখুন। ঈদের দিনগুলোতে শিশুরা বেশি ঘোরাঘুরি করে এবং কম পরিমাণে তরল খাবার খায়। এ থেকে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করান।
শিশুর খাবার স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করুন
রান্না করার সময় খেয়াল করবেন, যাতে খাবারের পুষ্টির মান বজায় থাকে। তাই সবজি রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর বড় বড় টুকরা করুন। সবজি সব সময় কম তাপে, ঢাকনা দিয়ে রান্না করলে খাবারের ভিটামিন, মিনারেল ঠিক থাকে।
শিশুদের খাবার রান্নার সময় বেশি করে তেল, ঘি দিতে হবে। এটি শিশুকে শক্তি জোগাবে।
বিরত রাখুন এসব খাবার থেকে
ঈদের খুশিতে ফাস্টফুডকে ‘না’ বলুন শিশুদের জন্য। ফাস্টফুড শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। বাইরের জুস, প্রক্রিয়াজাত রং মেশানো সব খাবার খেতে শিশুকে নিরুৎসাহিত করুন। শিশুদের খাবারে ক্ষতিকর রং, পাম অয়েল ব্যবহার করবেন না। শিশুদের বাইরের খোলা অবিশুদ্ধ পানি পান করানো থেকে বিরত থাকুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।