বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ দূর করতে ছয় পরামর্শ
বয়ঃসন্ধিকালের একটি বড় সমস্যা ব্রণ। সাধারণত ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ২০ বছর বয়সের পর রোগটা কমে এলেও কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এ রোগ দেখা যায়।
ত্বকের ফলিকলের এক প্রকার দীর্ঘমেয়াদি রোগ ব্রণ। এটি মুখ, ঘাড়, কাঁধ, বুক বা পিঠ দেহের বিভিন্ন অংশে হতে পারে। এসব জায়গায় ছোট ছোট দানা, ছোট ছোট ফোঁড়া, নোডিউল, সিস্ট হতে পারে।
তবে কিছু বিষয় আছে, যা ব্রণ দূর করতে অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন। মেডিকেল অবজারভার দিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
১. কখনো ব্রণ ধরা যাবে না বা খোটাখুটি করা যাবে না, যতই যন্ত্রণা দিক না কেন। হাতের স্পর্শ ব্রণগুলোতে আরো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে, প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে ত্বকে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।
২. ত্বকের তেল উৎপাদন প্রতিরোধের জন্য দিনে অন্তত দুবার ক্ষারহীন সাবান এবং হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে নেবেন। বেশি ঘষাঘষি করবেন না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
৩. বিশেষজ্ঞরা বলেন, চর্বিযুক্ত খাবার (যেমন পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চকলেট অথবা সফট ড্রিংকস) ব্রণ তৈরিতে সরাসরি ভূমিকা না রাখলেও সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এবং দীর্ঘস্থায়ী করে। তাই এসব খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৪. মাথার চুল যেন মুখে এসে ব্রণের কাছে লাগতে না পারে। ছেলেরা তো চুল ছোটই রাখে, তবে মেয়েরা চুল বেঁধে রাখবেন। কেননা, এ থেকে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
৫. অনেক মেয়ের ঋতুস্রাবের কিছুদিন আগে ব্রণ হয়। একে বলা হয় প্রি-মেনস্ট্রুয়াল একনে বা ঋতুস্রাবের আগে ব্রণ। ১০ জনের মধ্যে সাতজন মেয়েরই হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা হয়। এ সময়ে প্রচুর পরিমাণ পানি করুন।
৬. ব্রণ রোধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শাকসবজি, ফল খেতে হবে। তৈলাক্ত, ঝাল, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে ব্রণ পেকে গেলে বা অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।