ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী ইলিশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/05/10/photo-1525950118.jpg)
সবার কাছে ইলিশ মাছ খুব পছন্দের একটি খাবার। এটি যতটা সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিকর। অনেকের ধারণা, ইলিশের চর্বির পরিমাণ বেশি। তবে এই চর্বি কি ক্ষতিকর? ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণ কেমন?
এসব বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন পিপলস হসপিটাল লিমিটেডের পুষ্টিবিদ সুরাইয়া নাজনীন তুলি। তিনি বলেন, ‘ইলিশ মাছের চর্বির পরিমাণ বেশি, তবে সেটি ভালো চর্বি। অর্থাৎ পলিআনসেচুরেটেড ও মনো আনসেচুরেটেড চর্বির পরিমাণ বেশি। এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ বেশি পুষ্টিকর জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে ২১ পয়েন্ট প্রোটিন রয়েছে। এটি দৈনন্দিন খাবারের চাহিদার অনেকাংশেই পূরণ করে থাকে। এ ছাড়া এ থেকে ২৬২ কিলোক্যালোরি পেয়ে থাকি।’
ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে এটি হার্টের জন্য বেশি উপকারী জানিয়ে তিনি বলেন, এ ছাড়া এতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। যেমন সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম,ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, নায়াসিন, ভিটামিন বি টুয়েল্ভ। আরো অন্য উপাদান রয়েছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী।’
পুষ্টিবিদ সুরাইয়া নাজনীন তুলি বলেন, ‘ইলিশ মাছে আর্জেনিং নামক একটি উপাদান থাকার কারণে এটি বিষণ্ণতার পর্যায় থেকে মানুষকে দূরে রাখে।’
শিশুদের ক্ষেত্রে ইলিশ মাছ পাওয়ার বুস্ট হিসেবে কাজ করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া দেখা যায় শিশুদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হিসেবে কাজ করে। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য, বাচ্চার হাড়ের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস খুবই প্রয়োজনীয়। ইলিশ মাছে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম। এটি বাচ্চার বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’
পুষ্টিবিদ তুলি আরো বলেন, খুব কম খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ইলিশ মাছের ভিটামিন ডি আরথ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া এর মধ্যে জিংক থাকায় এটি বাড়ন্ত শিশু কিশোরদের উপকার করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে’। তাই খাদ্যতালিকায় ইলিশ মাছ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।