রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ব্যবহার

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নিউক্লিয়ার মেডিসিন বেশ আধুনিক একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এখানে রেডিও আইসোটোপের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
কোন কোন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নিউক্লিয়ার মেডিসিন ব্যবহার করা হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এম এ ওহাব। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হসপিটালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন কোন রোগ নির্ণয়ে নিউক্লিয়ার মেডিসিন আপনারা ব্যবহার করেন?
উত্তর : এক সময় বিষয়টি নিয়ে মানুষের একটি ভীতি ছিল। এখন এই নিউক্লিয়ার মেডিসিনকে আমরা বলি মলিকুলার ইমাজিন। মলিকুলার ইমাজিন মানে আপনার একটি কোষের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে যেসব ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হয়, মানুষের অঙ্গের ভেতর, সেগুলো আমরা ছবির আকারে দেখতে পারি। তার মানে আপনি একটি সিটি যখন করেন,তখন এই রোগটি হয়ে যাওয়ার পরে যে এনাটমিক্যাল পরিবর্তন হয় শরীরের সেটিকে দেখতে পান। কিন্তু একটি কোষের মধ্যে যে সবসময় ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন হচ্ছে, একে দেখতে পারেন না। একে দেখতে হলে আমাদের নিউক্লিয়ার মেডিসিনকে দেখতে হবে। এ জন্য সম্প্রতি একে মলিকুলার ইমাজিন বলা হয়। অনেক দেশে এটি ফিজিওলজিক্যাল বিভাগের মধ্যে রয়েছে। সাধারণ ফিজিওলজি যেটি আমাদের শরীরের ভেতর হয়, এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তন যেটি হচ্ছে, এই পরিবর্তনকে দ্রুত ধরার জন্য এটি করি। এর মানে হচ্ছে, একদম সম্প্রতি অবস্থাটিও নির্ণয় করা যাবে।
প্রথম দিকে যখন নিউক্লিয়ার মেডিসিন শুরু হয়, শুধু শুরু হয়েছিল থাইরয়েড দিয়ে। এখন মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে লিভার, কিডনি যত রকম ফিজিওলজি রয়েছে অঙ্গের মধ্যে রোগ নির্ণয় করা যায়। এখন আমাদের দেশে অনেক হয়তো হয় না। এরপরও আমাদের দেশে নিউক্লিয়ার মেডিসিন মস্তিষ্কে করা হয়, চোখের চিকিৎসা করা হয়। থাইরয়েডের চিকিৎসাতো আমাদের দেশে অত্যন্ত ভালোভাবে করা হয়। লিভারের চিকিৎসা করা হয়। লিভারের রোগ নির্ণয় করা হয়। প্যানক্রিয়াসের করা হয়। পাকস্থলীর একটি চিকিৎসা করা হয়। বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগী অনেকদিন ধরে থাকলে অস্বস্তিবোধ করে। এটি কেন হচ্ছে, এটাও আমরা নির্ণয় করতে পারি। কিডনিতে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের একটি বিরাট ফাংশন রয়েছে। কোন কিডনি কতভাগ কাজ করছে, এটি দেখা হয়। বাচ্চাদের একটি জ্বর হয়, বার বার। এটি হলে বাচ্চাদের কিডনিতে একটি রোগ হয়, যাকে বলে একিউট পাইলোনেফ্রাইটিস। কিডনি নষ্ট হতে হতে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখানে ক্রনিক পাইলোনেফ্রাইটিস হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। প্রাথমিক অবস্থায় এই চিকিৎসা দিলে এটি ভালো করা যায়।