মানুষের চেয়ে হৃৎপিণ্ডের বয়স ১০-১৫ বছর বেশি!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/04/photo-1441377120.jpg)
আপনার বয়স হয়তো ২০ থেকে ৩০ কিন্তু হৃৎপিণ্ডের বয়স কিন্তু এর চেয়ে ১০-১৫ বছর বেশি হতে পারে। জীবনযাপনের পদ্ধতি ও হৃদরোগের কারণে অনেকের মধ্যেই এমনটি দেখা যায় বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মধ্যে সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, অধিকাংশ পুরুষের হৃৎপিণ্ডের বয়স তার বয়সের চেয়ে আট বা এর বেশি। আর নারীদের ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের বয়স তার বয়সের চেয়ে গড়ে পাঁচ বা সাড়ে পাঁচ বছর বেশি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত উপমহাদেশের মানুষের হৃৎপিণ্ডের এই বয়স বৃদ্ধির হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি হওয়ার কথা। কারণ উপমহাদেশের মানুষ জিনগত কারণেই কিছু সমস্যায় ভোগেন। আর ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা ও ধূমপানের মতো রোগ ও জীবনধারাও হৃৎপিণ্ডের বয়স বাড়িয়ে দেয়। উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা ‘স্ট্রোকে’র ঝুঁকি পশ্চিমাদের তুলনায় বেশি।
হৃৎপিণ্ডের বয়স হলো ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড ও রক্তের চলাচল ব্যবস্থার বয়স। আর এই বয়স নির্ধারণে ব্যক্তির শরীরের অবস্থা ও রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার নথিপত্র আমলে নেওয়া হয়। এ ছাড়া ধূমপান, ডায়াবেটিস ও উচ্চতা অনুপাতে শরীর ওজনও হৃৎপিণ্ডের বয়স নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষকরা হৃৎপিণ্ডের বয়স নির্ধারণে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য নেন। এর পর নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ২০ জন এবং এর ঠিক উল্টো জীবনযাপনে অভ্যস্ত ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২০ জনকে আলাদা করা হয়। এতে দেখা যায় নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্তের হৃৎপিণ্ডের বয়স ১০ বছর। আর এর উল্টো জীবনযাপনে অভ্যস্ত বা ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিদের হৃৎপিণ্ডের বয়স ব্যক্তির বয়সের চেয়ে ২০ বছর পর্যন্ত বেশি পাওয়া গেছে।
ভারতীয় গবেষকরা বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক। তবে মধ্য বয়সে এমন অবস্থা অবশ্যই জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির। আর এই অবস্থার জন্য ধূমপান, কায়িক পরিশ্রম না করা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও মদ্যপানকে দায়ী করা হয়।
গবেষকরা বলেন, হৃদরোগে বয়স নির্ণয়ের বিষয়টি এই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই দেখানো হয়েছে। মধ্যবয়সী যাঁরা এখনো অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাঁদের দ্রুত সচেতন হতে হবে।