মেছতা কাদের বেশি হয়?
মেছতা নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। তবে নারীদের বেশি হতে দেখা যায়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১২৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ারের চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কালো রং হলেই কি মেছতা? নাকি এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কোনো উপসর্গ রয়েছে?
উত্তর : প্রাসঙ্গিক কোনো উপসর্গ নেই। কোনো চুলকানি বা ব্যথা কিছু হবে না। শুধু মেছতার মতো অনেক সময় কালো দাগ তৈরি করতে পারে। কতগুলো তিল জাতীয় জিনিস রয়েছে। যেমন : লিভাস নোটা, লিভাস আইটো। দেখতে অনেকটা কালো দাগ, তবে আসলে মেছতা নয়। সাধারণত এটি এক পাশে হয়ে থাকে। মেছতা দুপাশেই হয়। এটি ছাড়া আর অন্য কোনো রোগ বিশেষ জড়িত নয়। মেছতা সাধারণত একটি বিশেষ বয়সে হয়। বিশেষ কারণেও হয়ে থাকে। সে কারণগুলোর ভেতরে হরমোনের প্রাধান্যই বেশি। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়। তবে ছেলেদের যে মেছতা হয় না, তা নয়।
প্রশ্ন : মেয়েদের কি বেশি হয়?
উত্তর : হ্যাঁ। মেয়েদের বেশি হয়। কারণ, গর্ভাবস্থায় মেছতার প্রভাব হয়। গর্ভাবস্থায় কিছু হরমোন প্রাধান্য পায়। সে জন্য এই মেছতা বেশি হয়ে যায়। আবার যখন মেনোপজ হয়, নারীদের তখনো হয়। অথবা কোনো কোনো সময় হরমোনের ওষুধ খাওয়ার জন্য হতে পারে। বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। এই ওষুধ যারা খায়, তাদের বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য কারণও রয়েছে। যেমন : সূর্যের আলোর প্রভাব। সূর্যের আলোতে যারা বেশি থাকে, তাদের আলট্রাভায়োলেট রস্মি মুখে পড়ার কারণে মেছতার প্রাধান্য বেশি হয়।