ব্রণ হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

ব্রণ বিভিন্ন ধরনের হয়। অল্প, মাঝারি, বেশি। ব্রণ হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তবে সেটি কখন?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৩৩তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ার এর চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেক সময় ব্রণে জটিল অবস্থা হয়ে থাকে। সেটি আসলে কী রকম? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় কখন আসলে?
উত্তর : সব ব্রণ কিন্তু এক রকম নয়। ব্রণকে আমরা ভাগ করি, মাইল্ড (অল্প), মটারেট (মাঝারি) ও সিভিয়ার (গুরুতর) হিসেবে। মাইল্ড হলো অল্প মাত্রায়। দানাগুলো ছোট ছোট থাকে। অল্প কিছুদিনের ভেতর পরিচর্যার মাধ্যমে এগুলো ঠিক হয়ে যায়। একে আমরা মাইল্ড বলি। মুখের উভয় দিকের প্রতি অংশে যদি পাঁচটা করে এ রকম ছোট ছোট দানা থাকে এবং না পাকে, একে আমরা মাইল্ড ( অল্প) বলতে পারি। কোনো কোনো দানা যদি দমন হয়ে যায়, তখন কিছু কিছু পাকা থাকে। এরকম যদি দু/চারটা পেকে যাচ্ছে। এ রকম এক দিকে, মুখের দিকে, এমনকি কপালের দিকে, ঠোঁটের নিচের দিকে, বুকে দিকে দুই/ চারটা করে দেখা যায়, তখনই আমরা মডারেট বলি। তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ, পেকে গেলে তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কিন্তু খারাপ। দাগ হয়ে যাবে। স্কার্ব হয়ে যাওয়া, গর্ত হয়ে যাওয় এগুলো হয়। আর সিভিয়ার (জটিলতা) এ অনেক বড় বড় দানা হয়ে যায়। এর পরিমাণটা অনেক থাকে। অনেক জায়গা জুড়ে হয় এবং এটি ব্যথা করে। এতই বড় বড় যে খালি চোখে বেশ খারাপ লাগে। এটা সহজে সারতে চায় না। সহজে পেকেও যায় না। এটা হচ্ছে জটিল অবস্থা ব্রণের। মাঝামাঝি অবস্থায় যখন থাকে, পেকে যাওয়ার যেই অবস্থা তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।