ডায়রিয়া প্রতিকারে পরামর্শ
ডায়রিয়া পানিবাহিত একটি রোগ। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়রিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৩৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. কামাল সৈয়দ আহমেদ চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ডায়রিয়া রোগটি কী? কীভাবে এটি প্রতিকার করা যায়?
উত্তর : ডায়রিয়া হলো প্রথম ও প্রধান পানিবাহিত রোগ। এই ডায়রিয়া অনেক জীবাণুর কারণে হতে পারে। এটি ভাইরাসের কারণে হতে পারে, ব্যাকটেরিয়ার কারণে হতে পারে, এটি ফাঙ্গাসের কারণে হতে পারে। এখন এই ডায়রিয়া যদি ভাইরাসের কারণে হয়, এটি বড়দের ক্ষেত্রে অত ভয়ংকর হয় না, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয়। ডায়রিয়া হলে শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইট বের হয়ে যায়। তখন বাচ্চা শেষ পর্যন্ত পানিশূন্যতার কারণে মারা যেতে পারে। ভাইরাল ডায়রিয়া বাচ্চাদের জন্য যতটা বিপজ্জনক, বড়দের জন্য ততটা নয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। বড়দের জন্য ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাল ডায়রিয়ায় খুব একটা জ্বর হয় না। তবে ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়া জ্বর নিয়ে আসে। ৯৯ থেকে ১০৪ ডিগ্রি হতে পারে। সঙ্গে আপনার পেটে ব্যথা থাকবে। পায়খানার রাস্তায় ব্যথা থাকবে, যাকে এনএসমাস বলা হয়। একে ডাক্তারি বিদ্যায় এডোমিনাল ক্র্যাম্পস বলি। প্রচণ্ড বমি হতে পারে। সারা শরীরে ব্যথা, ম্যাজম্যাজ হতে পারে। মাথাব্যথা হতে পারে। ডায়রিয়া যদি হয়, প্রথম ভয়ের কারণ হলো পানিশূন্যতা। প্রাপ্তবয়স্কদেরও যদি পানিশূন্যতা হয়, প্রথমে প্রেশারটা কমে যাবে।
পায়খানা বন্ধের জন্য আমরা লক্ষণ অনুযায়ী কিছু ওষুধ দিই। আমি পরামর্শএদবো, পানিশূন্যতা যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পায়খানা কমে যাবে। তবে জটিল পানিশূন্যতা যদি হয় কিডনির ক্ষতি হবে, প্রেশার কমে যাবে। প্রেশার কমে গেলে আপনি শকে চলে যাবেন। এতে রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।