জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন কীভাবে দেবেন?
জরায়ুমখের ক্যানসার প্রতিরোধে বর্তমানে ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়েছে। নয় থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে এই ভ্যাক্সিন নেওয়া যায়। ভ্যাক্সিন দেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে।
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৪৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাইসা সুলতানা। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের জন্য কী কী পদ্ধতি রয়েছে?
উত্তর : দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, অস্বাভাবিক রক্তপাত- এ ধরনের লক্ষণগুলো যদি প্রকাশ পায়, তাহলে আবার রোগ নির্ণয়ের জন্য যাবে। এখানে কিছু স্ক্রিনিং রয়েছে। খুব অল্প ব্যয়ে এখন স্ক্রিনিংগুলো করা যায়। শুধু জরায়ুকে পরীক্ষা করেও কিছু বোঝা যায়। দ্বিতীয় হতে পারে ভায়া পরীক্ষা। এটি খুব সহজ পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা করে আমরা নির্ণয় করতে পারি। এরপর প্যাপসমেয়ার পরীক্ষা করেও রোগ নির্ণয় করতে পারি। আরো কতগুলো অগ্রবর্তী পর্যায় রয়েছে সেগুলো পরে দরকার হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় সন্দেহ হলে আরো পরীক্ষা করব।
প্রশ্ন : কাদের কতদিন পর পর স্ক্রিনিং করা উচিত?
উত্তর : ৩৫ থেকে ৪০ বছরের নারীদের বেশি স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন : ভ্যাক্সিনেশন কতদিন পরপর করতে হবে?
উত্তর : নয় বছর থেকে শুরু করে ৫৫ বছর পর্যন্ত দেওয়া যায়। এখন অনেক অগ্রবর্তী ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়েছে। তবে আমাদের দেশে এখন যেটি বেশি পাওয়া যায়, প্রথম একটি ডোজ দিতে হবে, এরপর এক মাস পর আরেকটি ডোজ, এরপর ছয় মাস পরে আরেকটি ডোজ দিতে হবে।