ব্রণের চিকিৎসায় করণীয়
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/07/31/photo-1533036220.jpg)
ব্রণ প্রচলিত রোগ। ব্রণ কম হলে ঘরোয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু ব্রণ বেশি হলে এর চিকিৎসা নেয়াই ভালো। ব্রণের চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৫৭তম পর্বে কথা বলেছেন সহকারী অধ্যাপক ডা. ইসাবেলা কবির।
ডা. ইসাবেলা কবির বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণ থেকে বেঁচে থাকার উপায় কী?
উত্তর : যাদের একনে থাকে, ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্রণ হয়। যদি ব্রণ হয়ে থাকে, তাহলে প্রথমে ত্বককে পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ভর করে। যদি নন ইনফ্লামেটোরি একনে হয়, তাহলে ওয়াইল্ড টপিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন মানে ওষুধও লাগাতে হবে। আবার মুখেও সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে তখন।
প্রশ্ন : সবাই তো ক্লিনজার কেনার সামর্থ রাখে না। তাদের ক্ষেত্রে কী করণীয়?
উত্তর : তাদের ক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। সবজি- ফল খেতে হবে। বাইরের জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। আর কসমেটিকস একটু কম ব্যবহার করতে হবে। সাজুগুজু এড়িয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন : ব্রণ হলে কীভাবে উদ্ধার পাবে?
উত্তর : যাদের ব্রণ হয়েছে, তারা টপিক্যাল টাইপ অ্যাপ্লিকেশন, অ্যারাথ্রোমাইসিন ইত্যাদি সলিউশন লাগাতে পারে। এ ছাড়া ট্রিটিনয়েন দলের কিছু ওষুধ দেয়া যায়। আর যাদের একটু জটিল ধরনের ব্রণ হয়, তাদের টপিক্যাল অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি সিস্টেমিক ওষুধও খেতে হবে। ব্রণের চিকিৎসা কিন্তু একটু দীর্ঘমেয়াদি। অন্তত তিন থেকে চার মাস তাকে টপিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন লাগাতে হবে এবং সিস্টেমিক ড্রাগ খেতে হবে। এক মাস ওষুধ খাওয়ার পর রোগীরা মনে করে ভালো হয়ে গেছে। তখন আর ফলোআপ করে না। তখন দেখা যায় কিছুদিন ব্রণ ভালো থাকে, তবে পরে আবার ঘুরে আসে। সেজন্য আমার পরামর্শ হলো সম্পূর্ণ কোর্সটা শেষ করা।
প্রশ্ন : ওষুধ খাওয়া ছাড়া কি ব্রণ থেকে কোনোভাবে মুক্ত থাকা যাবে না?
উত্তর :আসলে ব্রণ যদি হয়ে যায় আমার মনে হয়, ওষুধ খেয়ে নিরাময় করা ভালো। ওষুধ না খেলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। তবে যাদের ব্রণের প্রবণতা রয়েছে,তাদের তো ব্রণ হয়েই যায়।
প্রশ্ন : ব্রণ হলে কী কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে?
উত্তর : ব্রণের কারণে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। যদি একজন রোগী, আগেভাগে চিকিৎসা করে, তাহলে আমার মনে হয় তার ব্রণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এতোটা হয় না। তবে কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু গর্ত তৈরি হয়ে যায়। কালো কালো দাগ পড়ে যায় বা কিলয়েড তৈরি হয়। গর্ত হলে লেজার করতে হবে। আর কিলয়েড হলে এর চিকিৎসা করতে হবে।
প্রশ্ন : কিলয়েডের চিকিৎসায় কী করতে হয়?
উত্তর : সেই ক্ষেত্রে আমরা এক ধরনের ইনজেকশন দিয়ে থাকি। প্রতি মাসে একটি একটি করে।
প্রশ্ন : এ ছাড়া আধুনিক কোনো চিকিৎসা রয়েছে?
উত্তর : এখন আসলে ব্রণের অত্যাধুনিক চিকিৎসা করছে। ব্রণের কারণে যদি স্কার তৈরি হয়ে যায়, এই ক্ষেত্রে লেজারের একটি ভালো ভূমিকা রয়েছে। ফ্র্যাকশনাল লেজার দিতে পারি, ইনটেন্স পাস লাইট দিতে পারি। গর্তের জন্য মাইক্রোডার্মাব্রেশন করতে পারি। আরো কিছু আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। এগুলো সব এখন আমাদের দেশে রয়েছে।