ডেঙ্গুর জটিলতা কী?
ডেঙ্গু হয় সাধারণত ভাইরাসবাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ডেঙ্গু থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি হতে পারে। ডেঙ্গুর জটিলতার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৯০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. কুন্তল রায়।
ডা. কুন্তল রায় বর্তমানে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু থেকে জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি কি থাকে?
উত্তর : আমরা ডেঙ্গুকে তিনটি ভাগে ভাগ করি। একটি হলো ডেঙ্গু ফিবার, ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিবার, আরেকটি হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রম। হেমোরেজিক ফিবার হলে রোগীর শরীরে রক্তপাত হয়। সাধারত জ্বর কমে গেলে এ রকম হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রশ্ন : কী করণীয় এই সময়?
উত্তর : ঝুঁকিপূর্ণ সময় করণীয় হলো বাচ্চাকে বেশি বেশি করে ফ্লুইড খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে বেশি করে পানি হোক, জুস হোক, স্যালাইন হোক, স্যুপ হোক বেশি বেশি করে দিতে হবে। সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার অন্যান্য অবস্থা কেমন, সেদিকে। তার প্রস্রাব ঠিকঠাকমতো হচ্ছে কি না, সে খেলাধুলা করছে কি না, বাচ্চা দুষ্টুমি করছে কি না—এগুলো খেয়াল করতে হবে। এগুলোও কিন্তু বড় লক্ষণ। এগুলো দেখলে বোঝা যাবে বাচ্চা ভালো রয়েছে কি না।
প্রশ্ন : হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে বাচ্চাটি আক্রান্ত হয়েছে, এটি কি আগে থেকে বোঝা যায়?
উত্তর : শুরু থেকে আসলে বোঝার উপায় নেই। সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর আমরা যাকে বলি, সেটি ডেঙ্গু জ্বরের মতো আচরণ করবে। সেই আচরণে সে ভালো হয়ে যাবে। যেটা হেমোরেজিক, সেটি রক্তপাত নিয়েই প্রকাশ পাবে।
আবার যাকে আমরা সবচেয়ে খারাপ বলছি, ডেঙ্গু শক সিনড্রম যাকে বলছি, সেই বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাচ্চার পালস নেই। রক্তচাপ রেকর্ড করতে পারছি না। বাচ্চা একেবারে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ডেঙ্গু শক সিনড্রমে মৃত্যুঝুঁকিটা সবচেয়ে বেশি থাকে।