হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা কী?
হার্ট অ্যাটাক হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। তাই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২০৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারহাদ উদ্দিন।
ডা. ফারহাদ উদ্দিন বর্তমানে ল্যাব এইড হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাসপাতালে নেওয়ার পর কীভাবে নির্ধারণ করেন যে চিকিৎসা কী হবে?
উত্তর : অনেক গবেষণার মধ্য দিয়ে যেটা বের হয়েছে, কারো যদি হার্ট অ্যাটাক হয়, তিনি দ্রুত হাসপাতালে যাবেন। হাসপাতালে সিসিইউ সেটআপ রয়েছে। ওখানে যাওয়ার পর যেটা করা হবে দ্রুত, কয়েক মিনিটের মধ্যে এটা ইসিজি করে হোক, রক্ত পরীক্ষা করে হোক, নির্ধারণ করা হবে যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না। যদি নিশ্চিত হওয়া যায়, সুযোগ- সুবিধা থাকে, আমরা ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করাব, থ্রম্বোলাইটিকস যেটি আমি বলি, আমরা আপনাকে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টিতে নিয়ে যাব। যদি কাউকে অপশন দেওয়া হয়, যদি কারো সামর্থ্যে কুলায়, তিনি অবশ্যই প্রাইমারি এনজিও প্লাস্টির সুযোগটা নিবেন। প্রাইমারি এনজিও প্লাস্টি বলতে বোঝাচ্ছি যে দ্রুত এনজিওগ্রাম টেবিলে নিয়ে যাওয়া। এনজিওগ্রাম টেবিলে নিয়ে এনজিওগ্রাম করে দেখতে হবে। কোনো রক্তনালিতে ব্লক রয়েছে কি না দেখতে হবে। হলে হার্টে রিং পরাতে হবে। এই ঘটনাটিকে বলা হয় প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি। এটি দ্রুতই হয়। ৯০ ভাগ রোগীর বেলায় হার্ট অ্যাটাকটাকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব। আর যদি আমরা ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করি, ৬০ ভাগ রোগীর বেলায় দেখা যায় যে থ্রম্বোলাইটিকস হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাককে অনেকটা রোধ করা গেল।
প্রাইমারি এই চিকিৎসাটা বাংলাদেশের, বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে, এই সুযোগটা অবশ্যই রোগীদের নেওয়া উচিত এবং বোঝা উচিত।