কিডনির পাথরের চিকিৎসা কী?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/10/02/photo-1538480779.jpg)
কিডনির পাথর সাধারণ থেকে জটিল হতে পারে। অনেক সময় কেবল বেশি পরিমাণে পানি পান করে কিডনির পাথর নিরাময় করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে পাথর নিরাময়ের জন্য সার্জারির প্রয়োজন পড়ে।
কিডনির পাথরের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২১৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা.রুম্মানা বারী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিডনিতে পাথর হলে কীভাবে চিকিৎসা করেন?
উত্তর : যাদের এ ধরনের পাথর হচ্ছে, অনেক সময় দেখা যায় তাদের পাথর হতেই থাকে। এগুলোকে আমরা বলি রিকারেন্স স্টোন ফরমার।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর যদি কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে, যদি শরীরে বেশি পানি না থাকে বা দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগী না হয়, সেই ক্ষেত্রে আমরা বলি বেশি তরল খেতে। অর্থাৎ অনেক পানি পান করতে। আড়াই থেকে তিন লিটার পানি আমরা প্রতিদিন পান করতে বলি।
এ ছাড়া আমরা প্রস্রাবকে ক্ষারীয় বা অ্যালকালাইন করার জন্য কিছু ওষুধ দিয়ে থাকি। ব্যথা কমানোর জন্য অ্যান্টি স্পেজমোটিক জাতীয় ওষুধ দিই।
পাথরের আকার যদি দুই দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটারের নীচে হয়, তাহলে ইএসডাব্লিউএল বলে একটি পদ্ধতি রয়েছে, পাথরকে ক্রাশ করে দেয়া হয়, এটি করি। আর যদি সংক্রমক পাথর হয়, তাহলে এটি করা যাবে না। ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা অনেক সময় ভিন্ন হয়।
তবে আগেই এসব পদ্ধতিতে যাই না। পানি বেশি পান করলে অনেক সময় পাথর কিন্তু বেরিয়ে আসে। আর যখন সার্জিক্যাল ইন্টারভেনশনের দরকার হয়, সেই সব ক্ষেত্রে পাথরের ক্যামিক্যাল এনালাইসিস করলে, কী ধরনের পাথর ক্যামিক্যাল গঠনটা জানতে পারলে আবার যেন পাথর তৈরি না হয়, সেজন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে পারি। যেমন ধরুন, ইউরিক এসিড সমৃদ্ধ পাথর যদি হয়, রোগীর ইউরিক এসিড বেশি হচ্ছে, তাহলে আমরা কিছু ওষুধ দিই, যাতে ইউরিক এসিড কম তৈরি হয়।
ক্যালসিয়াম যাদের বেশি রয়েছে, ভিটামিন ডি যাদের বেশি রয়েছে, আমরা এগুলো গ্রহণ কমিয়ে দিই। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরই বেশি হয়।