দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসা কী?
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস।
এই রোগের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২২০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রুম্মানা বারী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসা কীভাবে দিয়ে থাকেন? কতদিন ধরে চিকিৎসা চলতে থাকে?
উত্তর : দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ যেহেতু বাড়ে,তাই আগের অবস্থায় কিডনি কখনো ফিরে আসবে না। কিন্তু এই বৃদ্ধিটা যদি আমরা বন্ধ করে দিতে পারি, তাহলে ডায়ালাইসিস পর্যন্ত বা কিডনি প্রতিস্থাপন পর্যন্ত সেরকম ব্যয়বহুল চিকিৎসায় গড়াবে না। এই জন্য যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে।
রোগীর যদি রক্তস্বল্পতা থাকে, সেটি ঠিক করি। তার ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের অনুপাতটা যখন উল্টে যাচ্ছে, তখন সেটি নিরাময়ে সেভাবে ব্যবস্থাপনা নিই। রোগীর অনেক সময় বমি থাকে, পানি আসছে শরীরে- এ ধরনের প্রতিটি লক্ষণ অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি।
প্রশ্ন : পর্যায়ের কথা বলছিলেন। এটি নির্ভর করে কিসের ওপর?
উত্তর : পর্যায়টা নির্ভর করছে ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্সের ওপর। ক্রিয়েটিনিস ক্লিয়ারেন্স স্বাভাবিকও থাকতে পারে। এর ওপর নির্ভর করে চিকিৎসাটা করি।
প্রশ্ন : চিকিৎসার পরে সম্পূর্ণ কি নির্মূল হয়?
উত্তর : রোগের বেড়ে যাওয়ার বিষয়টাকে আমরা হয়তো কমিয়ে দিতে পারি।
প্রশ্ন : বাকি সময়গুলোতে কি সে সুস্থ থাকে?
উত্তর : হয়তো পর্যায় দুই থেকে তিনের মধ্যে রয়েছে। রক্তস্বল্পতা হচ্ছে, রক্তস্বল্পতার চিকিৎসা দিলাম, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা হলে সেটি ঠিক করে দেই। এসব ক্ষেত্রে প্রেশার খুব অনিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে। এটি পুরোপুরি ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো করলে আমরা রোগীকে ভালো রাখতে পারি।