ফ্যাটি লিভারের সমস্যা সমাধানে করণীয়
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার সমস্যাকে ফ্যাটি লিভার ডিজিস বলে। জীবনযাপনের ধরনের পরিবর্তন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৩৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হসপিটালে গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ফ্যাটি লিভার হলে করণীয় কী?
উত্তর : প্রথম যেটি, সেটি হলো আমাদের জীপনযাপনের পরিবর্তন। এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট। যত চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, মূল অংশটা হলো জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন। সেগুলো বলতে আমরা কী বুঝি? ওজন কমাতে হবে। অর্থাৎ একজন মানুষের যতটুকু ওজন থাকা প্রয়োজন, ততটুকু থাকতে হবে। একজন মানুষের উচ্চতা যতটুকু হবে, একে যদি সেন্টিমিটারে রূপান্তর করি, তার থেকে ১০০ বিয়োগ দেবো। আমার উচ্চতা যদি ১৭০ সেন্টিমিটার হয়, তাহলে আমার আদর্শগত ওজন হবে ৭০ কেজি। এই বিষয়টা আমাকে মেনে চলতে হবে। মানে আমি যেন বেশি ওজনের না হই। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
দ্বিতীয় হলো, চর্বিযুক্ত খাবারকে পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে হবে। তৃতীয় হলো, আমাদের হাঁটা। হাঁটা মানে কিন্তু সাধারণ হাঁটা নয়। আমরা যাকে বলি জগিং, সেটি করতে হবে। হাঁটার কিছু নিয়ম রয়েছে। শরীর থেকে আমাদের যেন ঘাম ঝরে। আমার দৃষ্টি থাকবে সামনে। আমার হাত ও পা সবকিছুকে সমানে নড়াচড়া করতে হবে। তাহলে আমাদের হাঁটা হবে উপকারী।
আমরা যেটি বলি প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটবেন। জোরে হাঁটবেন। শরীর থেকে যেন ঘাম ঝরে। যদি প্রতিদিন কেউ এক ঘণ্টা হাঁটেন, আমরা একে বলি ওয়েট রিডিওসিং ওয়াকিং। আর যদি কেউ মনে করেন আমার ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলেই হবে। হাঁটার কারণে যেই ওজনটা কমে যাবে, এটি এই রোগটিকে অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখবে।