চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়
বর্তমানে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার দেখা যায়। অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রত্ত্র ব্যবহারের এই আধিক্য মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। একটি সময় হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক আর কোনো রোগ নিরাময়ে সহযোগিতা করবে না, এমন ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৯৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মাতলেবুর রহমান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : আমি হয়তো জানি না আমার শরীরের ভিতরে কোনো সংক্রমণ রয়েছে কি না। অ্যান্টিবায়োটিক পছন্দ করার সময়, যেকোনো গ্র্যাজুয়েট ফিজিশিয়ান বা যোগ্য ফিজিশিয়ান দেখেন যে রোগীর কোন জীবাণু দিয়ে অসুখ হয়েছে। ওই জীবাণুতে কোন ওষুধটা কার্যকরী হয়। আমি হয়তো না জেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেললাম, যেটা কি না আদৌ এটির ওপর কাজ করে না। অ্যান্টিবায়োটিক আমি অপ্রয়োজনে ব্যবহার করে ফেললাম। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় যখন তার জীবনে কঠিন সময় আসবে, যখন তিনি গুরুতর আক্রান্ত হবেন, সংক্রমিত হবেন, তখন তার জীবন বাঁচানোর জন্য আমাদের তো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে, তখন দেখা যাবে, আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পাব না। কোন অ্যান্টিবায়োটিক তার জন্য কার্যকর সেটি বুঝব না।
এখন পৃথিবীতে একটি ঝুঁকির বিষয় হলো সুপারবাগ। সুপারবাগ হলো এমন একটি জীবাণু যেখানে পৃথিবীর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। বলা হয়, এমন দিন আসছে যুদ্ধে যতটা না মানুষ মারা যাবে, এর চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারানোর কারণে।
আমরা যদি এখন থেকে সচেতন না হই, তাহলে ক্ষতি। এমনকি আমার নিজেকে সচেতন হতে হবে। ফামের্সি থেকে সহজে পেলেই খাব না। কারণ, আমাকে তো রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। আমি যেন নিজে সচেতন হই। আমি কোনো ভালো ফিজিশিয়ান এর পরামর্শ ছাড়া, কোনো অ্যান্টিবায়োটিক এমনকি ওটিসি ওষুধই খাব না। যদি আমি দেখি এটাতে আমার কোনোভাবে ভালো হচ্ছে না, আমি পাশাপাশি একজন রেজিস্ট্রার ফিজিশিয়ানের কাছে যাব।