ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ কী?
ফুসফুসের ক্যানসারে সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষ মারা যায়। ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। শ্বাসকষ্ট, কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ। এ ছাড়া আরো লক্ষণ রয়েছে।
ফুসফুসের ক্যানসারের বিভিন্ন লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ কী?
উত্তর : আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণ থাকেন, আপনি যদি ধূমপায়ী হোন, কিছুদিন পরপর স্ক্রিনিং করা উচিত। ৪০ বছরের পর সবারই আসলে স্ক্রিনিং করা উচিত। কারণ, বেশির ভাগ ক্যানসার তো চল্লিশের পরেই শুরু হয়। অন্তত একটি বুকের এক্স-রে করা উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় যদি ধরতে পারি, ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ফুসফুসের ক্যানসারের বেশিরভাগ রোগী আসে পরে।
প্রশ্ন : তখন কী ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়?
উত্তর : যেমন : কাশি। যারা ধূমপান করে, তাদের তো কাশি থাকেই। এ জন্য সচেতন থাকে না। কাশি নিয়ে যখন তারা আসে, দেখা যায়, কাশির সঙ্গে রক্ত আসে অথবা তার সংক্রমণ হচ্ছে, ওজন কমে যাচ্ছে, এরপর দুর্বল লাগছে—এ রকম লক্ষণ যদি হয়, অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এটা তো গেল প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে অনেকে কিন্তু জানেও না। অন্য সমস্যা নিয়ে আসলে দেখা গেল সমস্যা রয়েছে।
প্রশ্ন : ফুসফুসের ক্যানসার হয়েছে, নিশ্চিত হন কী পরীক্ষা করে?
উত্তর : যেকোনো ক্যানসারের প্রথম বিষয় হলো টিস্যু পরীক্ষা করা। টিস্যু ডায়াগনসিস যেটি বলি। এর বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।
যদি দেখি ফুসফুসের মাঝামাঝি রয়েছে, তখন ব্রঙ্কস্কোপি করে একটি টিস্যু নিয়ে নিই। এক্স-রে দেখে আমরা বুঝতে পারি ধরনটা কী রকম। আমরা এফএনএসি করি। সেটি দিয়ে প্রথমে বুঝতে পারি যে ক্যানসার রয়েছে কি না, থাকলে দেখতে হবে যে কী ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার। ফুসফুসের ক্যানসার দুই ধরনের রয়েছে। দুটোর চিকিৎসা দুই রকম। চিকিৎসা দুই রকম, ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কমবেশি রয়েছে।
প্রথমত, দেখতে হবে রয়েছে কি না, দ্বিতীয়ত দেখতে হবে এটা কোন ধরনের এবং ক্যানসারের কোন পর্যায়ে রয়েছে।