মানসিক চাপ থেকে হতে পারে ব্রণ
ব্রণ একটি প্রচলিত সমস্যা। ছেলেমেয়ে সবারই এ সমস্যা হয়। ব্রণ কেন হয়?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪০১তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণ প্রচলিত একটি বিষয়। বিশেষ করে তরুণ মেয়ে বা ছেলেদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ব্রণ হয় কেন?
উত্তর : আমাদের তেল তৈরি করার গ্রন্থি হলো সেবাসিয়াস গ্রন্থি। এই গ্রন্থির প্রদাহের জন্য আসলে ব্রণ হয়। ব্রণ কিন্তু একটি কারণে হয় না। অনেকগুলো কারণ এতে কাজ করে। সেবাসিয়াস গ্রন্থির কাজ বাড়ে, যখন অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বা পুরুষ হরমোনটা রক্তে চলে আসে তখন। ১১ থেকে ১২ বছর পরে আসতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ ১২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে কোনো না কোনো কারণে ব্রণে আক্রান্ত হয়। সূর্যের আলো, তৈলাক্ত ত্বক ইত্যাদির কারণে ব্রণ হয়। তবে সবার আগে একটি কারণ চলে আসে, সেটি হলো মানসিক চাপ। কারণ, মানসিক চাপ থেকে অ্যান্ড্রোজেন বেশি তৈরি হয়। সেবাসিয়াস গ্রন্থির কাজ বাড়ার জন্য, শেষ পর্যন্ত ব্রণ বেড়ে যায়।
সাধারণত আমাদের দেশে মা-বাবারা যখন সন্তানকে নিয়ে আসেন, বলেন, ‘আমার বাচ্চার মানসিক চাপ কোথায়? সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বা নবম শ্রেণিতে পড়ে, তার তো পড়াশোনা ছাড়া কোনো কাজ নেই।’ কিন্তু আসলে পড়াশোনা নিজেই একটি মানসিক চাপ। পরীক্ষার চাপ, ফলাফলের চাপ। বয়ঃসন্ধিকালের যে শারীরিক পরিবর্তন, এটিও এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি করে।
আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মুখে খুব কম জিনিসই ব্যবহার করি। আপনারা দেখবেন, ছেলেরা সাধারণত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, আমরা কম প্রসাধনী লাগাই। কিন্তু মেয়ারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন : ব্রণ কারো বেলায় খুব বেশি হয়। কারো বেলায় খুব কম হয়। এর কারণ কী?
উত্তর : একটি মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে একটি বা দুটো কারণ কাজ করছে। আরেকটি মানুষের মধ্যে অনেকগুলো কারণ কাজ করছে। দ্বিতীয় হলো, প্রদাহজনিত ব্রণ, যেগুলো চামড়ার নিচে পর্যন্ত বিস্তার করে, এর আবার ধরন রয়েছে। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো হতে পারে। বিশেষ করে অবাঞ্ছিত লোমের সঙ্গে এর একটি সম্পর্ক থাকে।