কোলেস্টেরল পরীক্ষা কখন করতে হয়?

কোলেস্টেরল চর্বি জাতীয় একটি উপাদান। দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তনালিতে ব্লক হয়।
কোলেস্টেরল পরীক্ষা কখন করতে হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪২৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. তৌফিকুর রহমান। বর্তমানে তিনি কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোলস্টেরল নির্ণয়ে কখন পরীক্ষা করা উচিত?
উত্তর : যাঁদের বয়স চল্লিশের ওপরে রয়েছে তাঁদের পরীক্ষা করতে হবে। ৪০ বছরের পরে আস্তে আস্তে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। যাঁরা স্থূল তাঁদের এটি বাড়তে পারে। এরপরে ধরুন আমাদের কাছে একটি রোগী এসেছে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে। তখন হার্ট অ্যাটাকের কারণ খুঁজি। তার কি আসলে ডায়াবেটিস রয়েছে? সে কি সিগারেট খায়? তার কি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি? তার কি উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে? এগুলো জানতে চাই। তখন কিন্তু আমরা লিপিড প্রোফাইল করতে দেই। শুধু সিরাম কোলেস্টেরলের যদি পরীক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। লিখতে হবে শুধু সিরাম লিপিড প্রোফাইল।
তখন কোনটা বেশি রয়েছে, কোনটা কম রয়েছে সেটি দেখে ওষুধ দেই। এক একটির জন্য এক এক ধরনের ওষুধ রয়েছে। তখন আমরা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ দেই।
এই ক্ষেত্রে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সেটি হলো, আপনার কোলেস্টেরল তো স্বাভাবিক। আপনি কোলেস্টেরলের ওষুধ কেন খাচ্ছেন? আমি তো বুঝতে পারছি না। চিকিৎসক কেন আপনাকে কোলেস্টেরলের ওষুধ দেল? দেখা যায়, এনজিওগ্রাম করলে ৩০ বা ৪০ ভাগ ব্লক রয়েছে। এই রোগীগুলোর তো আমরা রিং বসাবো না বা এগুলোর জন্য বাইপাস চিকিৎসা নয়। এই যে ব্লকটা রয়েছে, এটি কি দিন দিন বাড়বে? বাড়ার সুযোগ দেব আমরা? তা তো নয়। তাই কোলেস্টেরলের ওষুধ খেতে হবে।