কিডনির ভীতিকর সাত রোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/20/photo-1558338440.jpg)
কিছু কিডনির সমস্যা ক্রনিক বা দীর্ঘ মেয়াদে কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। কিছু কিডনির সমস্যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ দিকে যায় এবং কিডনি বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটায়।
এ ধরনের সমস্যা দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা করলে দীর্ঘ মেয়াদে কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়া প্রতিরোধ করা যায়।
তাই কিডনি বিকল হওয়া প্রতিরোধে সাত কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আমেরিকান কিডনি ফান্ড প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া কিডনি অথবা মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের অন্যতম একটি লক্ষণ। সাধারণত কারণের ওপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা করা হয়। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়া
প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যাওয়া কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। সবার রক্তে প্রোটিন থাকে। একটি ভালো কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য ও তরল ছেঁকে বের করে। কিডনি একটু ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে প্রোটিন বের হয়। এই প্রোটিন অ্যালবুমিন নামে পরিচিত। কিডনি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে সমস্যা সমাধানে চিকিৎসা করুন।
৩. কিডনির পাথর
পাথর হওয়া খুব প্রচলিত কিডনির সমস্যা। পাথর বড় হলে ব্যথা হয়। পাথর ছোট হলে খুব সহজেই মূত্রতন্ত্রে নড়াচড়া করতে পারে এবং অনেক সময় এর কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। কিডনির পাথর দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. হঠাৎ কিডনি বিকল
হঠাৎ করে কিডনি এক ঘণ্টা বা একদিন কাজ করা বন্ধ করে দিলে একে হঠাৎ কিডনি বিকল বলা হয়। এটি খুব জটিল সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিতে পারলে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাসপাতালে থাকা খুব দুর্বল রোগীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হয়।
৫. কিডনির সংক্রমণ
কিডনির সংক্রমণ সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। জ্বর, বমি, কোমরব্যথা ইত্যাদি এর লক্ষণ। পুরুষের তুলনায় নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধে দ্রুত সংক্রমণ প্রতিরোধ করা জরুরি।
৬. কিডনি ব্যথা
কিডনির ব্যথা সাধারণত পিঠের মাঝখানে বা পাশে করে। তবে কোমরব্যথা মানেই কিন্তু কিডনির সমস্যা নয়। তাই কিডনির কারণে কোমরব্যথা হোক আর এমনিতেই কোমরব্যথা হোক, রোগ জটিল হওয়ার আগে চিকিৎসকের কাছে যান।
৭. হেপাটাইটিস সি ও কিডনির রোগ
হেপাটাইটিস সি-এর কারণে লিভার আক্রান্ত হয়। তবে হেপাটাইটিস সি ও কিডনি রোগের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এই হেপাটাইটিস কিডনি রোগ তৈরি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে হেমোডায়ালাইসিসের (এটি কিডনি ফেইলিউরের রোগীদের এক ধরনের চিকিৎসা) সময় কিডনি রোগীরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।