যে পাঁচটি কাজ ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন করা জরুরি

ডায়াবেটিস বর্তমানে ভয়াবহ মহামারির নাম। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, আপনার পরিবারের কেউ না কেউ হয়তো ডায়াবেটিসে ভুগছে। এই রোগ শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম, নিয়মিত ওষুধ সেবন এই রোগকে নিয়ন্ত্রিত রাখতে সাহায্য করে। কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো প্রতিদিন মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীরা অনেকটা সুস্থ থাকতে পারেন।
এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. রক্তের সুগার পর্যবেক্ষণ
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন বা নিয়মিত রক্তের সুগার পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এটি ডায়াবেটিস থেকে হওয়া ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। সকালে খালি পেটে এবং খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর রক্তের সুগার পরীক্ষা করুন। সুগারের মাত্রা জানা থাকলে ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া বিভিন্ন ঝুঁকি এড়াতে সহজ হয়।
২. হাঁটুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাঁটার বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্যায়াম রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণের একটি স্বাস্থ্যকর উপায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন।
৩. নারকেল তেল
যাদের ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, তারা খাদ্যতালিকায় এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল রাখুন। এই তেল ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই তেলের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি এসিড টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৪. লেবুপানি
লেবু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এমনকি আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় লেবু রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিকেল কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর কারণে রক্তের সুগারের ভারসাম্য ঠিকঠাক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় লেবুপানি রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৫. করলার জুস
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত করলার জুস পান করুন। করলার মধ্যে রয়েছে তিন ধরনের উপাদান। এগুলো হলো : ক্যারানটিন, ভাইসিন ও পলিপেপটাইট-পি। এগুলো রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে উপকারী। তাই প্রতিদিন আধা থেকে এক কাপ করলার জুস পান করুন।