কোন কোন জিনিসকে মাদক বলা হয়?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/02/photo-1475409805.jpg)
মাদকাসক্তি অনেক মূল্যবান জীবনকেই নষ্ট করে দেয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫১৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ফারজানা রহমান। বর্তমানে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : যেগুলোকে মাদক বলা হচ্ছে, সাধারণত আমাদের দেশে এই উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর : আমাদের দেশে যে মাদকগুলো বেশি পাওয়া যায় এবং আমাদের দেশে বেশির ভাগ কিশোর তরুণ, সেসব মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে, তার মধ্যে গাঁজা অন্যতম। এ ছাড়া খুব প্রচলিতভাবে যেটা হচ্ছে, ইয়াবা। এর পাশাপাশি অনেক ধরনের মাদকই আমাদের দেশে প্রচলিত। যেমন হিরোইন, প্যাথেড্রিন। তারপর বিভিন্ন ধরনের চেতনানাশক ওষুধ যেমন কেটামিজ এগুলো। তবে আমাদের দেশে গাঁজার প্রচলনটাই সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন : অ্যালকোহলও এক সময় আসক্তিতে পরিণত হয়?
উত্তর : অ্যালকোহল যেটা মিথাইল অ্যালকোহল বা সরাসরি অ্যালকোহল এর থেকে হয়। এর প্রচলন আমাদের দেশে আছে।
প্রশ্ন : মাদক সেবনের শুরুটা হয় কী করে? আপনাদের গবেষণা কী বলে?
উত্তর : শুরুটা হয় নিকোটিন বা সিগারেট দিয়ে। সাধারণত দেখা যায় যেটাতে এটা দিয়ে শুরু হয়। মাদক শুরুর দরজাটা হলো নিকোটিন। দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে যেমন বন্ধুরা বলল, ‘চল’। বা ফলাফলটা ঠিক আশানুরূপ হচ্ছে না। বা কোনো কারণে হয় তো পারিবারিক অশান্তি বা সহিংসতা আছে। অথবা যদি কোনো কারণে মন খারাপ থাকে, হতাশ থাকে, হয়তো সম্পর্কে সমস্যা। এই ক্ষেত্রে আসলে অনেক তরুণ উৎসাহী হয়ে পড়ে, মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মজা করার জন্য আড্ডার ছলেও অনেকে করে। অনেকের আবার খুব আত্মবিশ্বাস থাকে। অন্যরা আসক্ত হবে, আমি হব না। আবার যদি আশপাশে মাদক খুব সহজলভ্য হয়, সেই পরিবেশে সেই রাষ্ট্রে কিন্তু মাদকাশক্তিটা বেড়ে যায়।
আর মাদকের নিজস্ব একটি রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য আছে। অর্থাৎ যেই মাদকটা সেটার নিজেরই একটি বৈশিষ্ট্য আছে। সেটা সরাসরি আমাদের মস্তিষ্কে তীব্র অনুভূতির জন্ম দেয়। এবং যদি কোনো মাদকাসক্ত কোনো কারণে মাদক গ্রহণ নিয়মিত না করে, তাহলে ভয়ঙ্কর শারীরিক মানসিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সেটি না নিয়ে সে আর পারে না। সে মাদকের হাতে বন্দি হয়ে যায়। যে রাসায়নিক পদার্থগুলো এই উইথড্রয়াল সিমটমগুলো শুরু করে এবং মস্তিষ্কের পুরো কাজকে বদলে দেয়, তাকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষা্য় ওষুধ বা মাদকদ্রব্য বলি।