ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও করণীয়
ডেঙ্গু হচ্ছে ভাইরাস জনিত জ্বর। এই ভাইরাস এডিস মশা বহন করে। আগে স্বাভাবিক ভাইরাসজনিত জ্বরগুলো সাতদিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেহের ইমিউন সিস্টেম প্রতিরোধ করতে সক্ষম ছিল। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এখন যেহেতু ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ডেঙ্গু জ্বর বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
বর্তমান পেক্ষাপটে ডেঙ্গুজ্বর ও তার জটিলতার কারণে জীবনহানি হচ্ছে। ডেঙ্গুজ্বর এটি আসলে কী ধরনের জ্বর ? এটি আসলে কীভাবে হয়ে থাকে, হওয়ার পর কী ধরনের উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আপনাদের কাছে আসে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ডেঙ্গু হচ্ছে একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। এটাকে বহন করে এক ধরনের এডিস মশা। এটা সাধারণত যেখানে পানি জমে থাকে, সেখানে ওই মশা বংশবিস্তার করে। বিশেষ করে বাসার পাশে, গাড়ির টায়ারে জমে থাকা পানির মধ্যে মশা বিস্তার করে। মশার কামড়ের মাধ্যমে এটা মানুষের শরীরে প্রবাহিত হয়। ডেঙ্গু কতগুলো ধরণ আছে। এইগুলো হচ্ছে- ক্যটাগরি-‘এ’, ‘বি’ এবং সি। এই ক্যাটাগরি দেখে চিকিৎসা করা হয়। সেইভাবে রোগী উপসর্গ নিয়ে আসে।
আগে স্বাভাবিক ভাইরাসজনিত ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু জাতীয় জ্বরগুলো সাতদিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেহের ইমিউন সিস্টেম প্রতিরোধ করতে পারত কিন্তু ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে সেটি হচ্ছে না এবং এবারের জ্বরে কী ভিন্নতা দেখতে পাচ্ছেন, কেন এই জ্বর এতো সিভিআর আকার ধারণ করছে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ডেঙ্গুর সাধারণত চারটি সেরোটাইপ পাওয়া যায়। তাই ডেঙ্গু ভিন্ন ভিন্ন সেরোটাইপ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আক্রান্ত হয়। একই সেরোটাইপ দিয়ে সেকেন্ড টাইম আক্রান্ত হয় না। যে সেরোটাইপ দিয়ে আক্রান্ত হবে, ওইটার এন্টিবডি ডেভেলপ করবে এবং ওইটা আর হবে না। পরবর্তী সেরোটাইপ দিয়ে আবার আক্রান্ত হবে। আর এখনকার ডেঙ্গুগুলো প্রতি বছর নতুন ভ্যারিয়েন্ট চলে আসে। গ্রামেগঞ্জে এখন ডেঙ্গু দেখা যায়। সারা বছরই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এগুলো হচ্ছে বর্তমান সময়ের গ্রহণযোগ্য ঘটনা। ডেঙ্গুর সাথে আরও অন্যান্য ভাইরাস যুক্ত হয়। মানুষের দেহে অনেক ধরনের জটিলতা থাকে। বিশেষ করে তাদের শরীরে যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে। ক্রনিক ও লিভার রোগ থাকে অথবা অপুষ্টিতে ভুগে। সেক্ষেত্রে জ্বর বা সিভিআরের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায় এবং রোগী অনেকদিন যাবৎ ভুগতে থাকে।
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।