প্রাচীন মিসরীয় ধারায় এখনো নারীর রূপচর্চা

মিসরের সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রার কথা কে না জানে? দুই হাজার বছর আগে জন্মানো এই নারী আজ অবধি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। মূলত মিসরের নারীরা সৌন্দর্যের কারণেই সবার কাছে বেশ পরিচিত ছিল।
বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন মিসরীয় নারীদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ত না এবং তারা সুন্দর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করত। তারা কখনোই সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে আপস করত না এবং সবসময় প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করত। তাদের জন্য সৌন্দর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং তারা চাইতো আজীবন সুন্দর থাকতে।
মিসরের নারীরা পাঁচ হাজার বছর আগে সৌন্দর্যচর্চায় যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করত সেসব উপাদান আজও ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরি। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে মিসরীয় নারীদের সৌন্দর্যের গোপন রহস্যের কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।
মেথির ফেসিয়াল
মিসরীয় নারীরা সবসময় ফেসিয়াল এবং ফেস মাস্কের জন্য মেথি ব্যবহার করত। মেথি ত্বক নরম ও সুন্দর করে। মেথি অ্যান্টি-ব্যাকটরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল হওয়ার কারণে এটি ব্যবহারে ত্বকে ব্রন হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
চিনির ব্যবহার
মিসরীয় নারীরা শরীরের লোম দূর করতে চিনি ব্যবহার করত। তারা পানির মধ্যে চিনি মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করত। এতে কোনো রকম ব্যথা ছাড়াই খুব সহজেই শরীরের লোম দূর হয়ে যেত।
অ্যাভোকাডোর পেস্ট
মিসরীয় নারীরা অ্যাভোকাডো চটকে নিয়ে পুরো মুখে লাগাত। এতে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হতো। এ ছাড়া অ্যাভোকাডো টুকরো করে কেটে চোখের নিচে রেখে দিত। এতে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হতো।
বাদামের তেল
মিসরীয় নারীরা গোসলের পর বাদামের তেল ব্যবহার করত। বাদামের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভালো ফ্যাট এবং ভিটামিন-ই থাকে। যা ত্বককে নরম, টানটান এবং মসৃণ করে। তারা প্রতিদিনই শরীরে বাদামের তেল ব্যবহার করত।
সামুদ্রিক লবণ
ক্লিওপেট্রা নিয়মিত সামুদ্রিক লবণ দিয়ে গোসল করতেন। এটি বেশ পুষ্টিকর শরীরের জন্য- যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। এবং এটি ত্বকের অন্যন্য সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
মিল্ক বাথ
মিসরীয় নারীরা দুধ দিয়ে গোসল করত। এটি ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে। দুধে প্রচুর পরিমানে সুগার এবং ল্যাকটিক এসিড থাকে যা ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং মৃতকোষ দূর করে।
সুগন্ধি
প্রাকৃতিক সুগন্ধি যেমন- ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি, গোলাপজল নিয়মিত ব্যবহার করত মিসরীয় নারীরা। তারা তাদের গোসলের পানিতে এ ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করত। এটি অ্যারোমার কাজ করত।
মেহেদী
মিসরীয় নারীরা চুলে মেহেদি ব্যবহার করত। এটি চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে। এর ফলে চুল হয়ে উঠতো স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।