ত্বক ভালো রাখতে দিনে কত গ্লাস পানি খাওয়া জরুরি?
শরীরের বেশিরভাগ কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। যখন পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না বা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। সারা দিনে বিভিন্নভাবে শরীর থেকে পানি বের হয়ে। ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা বলেন যে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও পানি বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। সূত্র : এই সময় অনলাইনের
ডিহাইড্রেশন বা শরীরের এই পনিশূন্যতা থেকেই নানা অসুখ জাঁকিয়ে বসে। তবে পানির অভাবে যে শুধু শরীরের ক্ষতি হয়, তা নয়। শরীরে পানির ঘাটতি সমানভাবে প্রভাব ফেলে ত্বকেও। ব্রণ, ফুসকুড়ি, শুষ্ক ত্বকের নেপথ্যে রয়েছে পানির ঘাটতি। চিকিৎসকের মতে, ত্বক আর্দ্র রাখার প্রধান শর্ত পানি খাওয়া। ভিতর থেকে শরীর আর্দ্র রাখতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।
ত্বকের সতেজতা বজায় রাখতে গিয়ে আবার বেশি পানি খাওয়াও ঠিক নয়। প্রত্যেকের শরীরের জন্য পানির চাহিদা আলাদা। কার ত্বকের জন্য কতটা পানি প্রয়োজন, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির শরীরে পানির ঘাটতির মাত্রার উপর। সেইসঙ্গে বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক সক্রিয়তার হালচাল পানি খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করা হয়। ত্বকের জন্য এমনিতে পুষ্টিবিদরা ৭-১০ গ্লাস পানি খাওয়ার কথা বলেন। তবে সেটা কমবেশি হতেই পারে।
ত্বকের ঝলমলে ভাব বজায় রাখতে যেমন পানি খাওয়ার বিকল্প নেই, তেমনই খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুমও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে পানির প্রভাব কিন্তু সরাসরি ত্বকে পড়ে না। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বের করে দেয় পানি। এই টক্সিন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। শরীরের দূষিত পদার্থ বাইরে না বেরোলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কম বয়সে ত্বক কুঁচকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ত্বক টান টান রাখতে শরীর টক্সিনমুক্ত রাখা জরুরি। আর তার জন্য পানি খাওয়া জরুরি।