প্রথমার্ধে দুর্দান্ত বাংলাদেশ
ফুটবলে বাংলাদেশের এমন দিন খুব বেশি আসেনি। যদি ধরা হয় ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট, বোধকরি বহুদূর যেতে হবে ইতিহাস ঘেঁটে বের করতে— এতটা দুর্দান্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল কবে খেলেছে! ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে তিন গোল দিয়েছে বাংলাদেশ, তা-ও পিছিয়ে পড়ে!
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ এ আজ বুধবার (২৮ জুন) গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তারাভা স্টেডিয়ামে ভূটানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য সমীকরণটা সহজ। প্রতিপক্ষ ভূটানের বিপক্ষে ড্র করলেই কিংবা ন্যূনতম (০-১) গোলের ব্যবধানে হারলেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। কিন্তু, ম্যাচের প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ ফিরে আসে প্রবলভাবে। ৩-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যেত বাংলাদেশ। সোহেল রানার শট ফিরিয়ে দেন ভূটান গোলরক্ষক জ্যাং পো। সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পাওয়ার চেষ্টা করে ভূটান। গোলরক্ষক জিকোর কল্যাণে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। তবে, ম্যাচের ১১ মিনিটে শেলথ্রিম নামগিলের বক্সের বাইরে ফাঁকায় পেয়ে যাওয়া শট রক্ষা করতে পারেননি জিকো। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৭ মিনিটে নিমা ওয়াংড়ির দুরপাল্লার শট বার পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় লাল-সবুজের দল।
গোল খেয়ে ছন্নছাড়া হয়ে গেলেও দ্রুতই নিজেদের গুছিয়ে নেয় জামাল ভূঁইয়া-শেখ মোরসালিনরা। ২০ মিনিটে প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ। ভূটানের বক্সের বাইরে রাকিবের বাড়ানো বলে বাঁ’পায়ের দারুন শটে সমতায় ফেরান মোরসালিন।
এই গোলের পর বাংলাদেশের খেলার ধরনটাই বদলে যায়। বেড়ে যায় খেলার গতি। যার ফল স্বরূপ ২৭ মিনিটে মোরসালিনের ক্রসে রাকিবের শট। ভূটানের ডিফেন্ডার জিগমের গায়ে লেগে বল ভূটানের জালে। ম্যাচে প্রথমবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে ভূটানকে ব্যতিব্যস্ত রাখে মোরসালিন-রাকিব জুটি। ৩৩ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মোরসালিনের বাড়ানো লম্বা পাসে ওয়ান অন ওয়ানে গোলরক্ষক পরাস্ত হলে বল অল্পের জন্য বারের পাশ দিয়ে যায়।
এই ভুল শুধরে মিনিট দুয়েক পরই প্রতিদান দেন রাকিব। ডি বক্সের বাইরে থেকে সলো রানে বল একদম গোললাইন থেকে প্রায় জিরো ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে চমৎকার এক গোল করেন রাকিব। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। এই ম্যাচ জিতলে ২০০৯ সালের পর প্রথমবার সাফের সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।