রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট
বোলিংয়ে শেষটা রাঙিয়ে তৃতীয় দিন বাংলাদেশের
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন বাংলাদেশময় বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। দিনের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানো, শেষ বিকেলে পাকিস্তানের জোড়া উইকেট নিয়ে স্বস্তি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ যথেষ্ট সুবিধাজনক স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। এখন সামনে চ্যালেঞ্জ, চতুর্থ দিনে তা ধরে রাখা।
আজ রোববারের (১ সেপ্টেম্বর) খেলা শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ২১ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। তবে, ৯ রানে স্বাগতিকদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ থামে ২৬২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩.৪ ওভারে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৯ রান। পাকিস্তানের দুই উইকেটই তুলে নেন হাসান মাহমুদ।
১২ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান সাত রানে হারায় প্রথম উইকেট। হাসানের বলে লিটন কুমার দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক। তার ব্যাট থেকে আসে তিন রান। ওয়ানডাউনে নামা খুররাম শাহজাদকে বোল্ড করেন হাসান। কোনো রান করতে পারেননি খুররাম।
এদিকে, আগের দিনের ১০ রান নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে, টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে খুররাম শাহজাদের বলে এক রানে বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ১০ রান করে বোল্ড হন খুররামের বলেই। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে চার রান, বোল্ড করেন খুররাম।
মীর হামজার বলে মাত্র তিন রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করেন খুররাম, তার ব্যাট থেকে আসে মোটে দুই রান। খুররামের বোলিং তোপে দিশেহারা বাংলাদেশকে এরপর টেনে তোলেন লিটন ও মিরাজ। ঠান্ডা মাথায় ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন দুজন। সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৬৫ রানের ঝলমলে জুটি।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে আবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই খুররামের জোড়া আঘাতে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। নিজের বলে ফিরতি ক্যাচে মিরাজকে ফেরান খুররাম। ইনিংসে এটি তার পঞ্চম শিকার। ভাঙে সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ১২৪ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় ৭৮ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। মিরাজকে ফেরানো খুররাম লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন আহমেদকে। এক রান আসে তাসকিনের ব্যাট থেকে।
পরের গল্পটা লিটনময়। একপ্রান্তে ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন তিনি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তার ব্যাটেই বাংলাদেশ লিডের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। সেটি পূরণ হয়নি লিটনের আউটে। আগা সালমানের বলে সাইম আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। তার আগে ২২৮ বলে ১৩টি চার ও চারটি ছক্কায় ১৩৮ রান করেন লিটন। শেষ অবধি বাংলাদেশ থামে ২৬২ রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৯০ রানে খুররাম ছয়টি এবং দুটি করে উইকেট পান হামজা ও সালমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : ৩.৪ ওভারে ৯/২* (শফিক ৩, আইয়ুব ৬*, খুররাম ০; তাসকিন ২-০-৬-০, হাসান ১.৪-০-৩-২)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৬২/১০ (সাদমান ১০, জাকির ১, শান্ত ৪, মুমিনুল ১, মুশফিক ৩, সাকিব ২, লিটন ১৩৮, মিরাজ ৭৮, তাসকিন ১, হাসান ১৩*, নাহিদ ০ ; হামজা ১৬-১-৫০-২, খুররাম ২১-৩-৯০-৬, আলী ৭-২-২০-০, আবরার ৩১-৫-৮৩-০, সালমান ৩.৪-০-১৩-২)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ২৭৪/১০।