বশেমুরবিপ্রবি’র ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩, বিক্ষোভ চলছে
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে দলগত ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান। আটক তিন জন হলেন—শহরতলীর সোনাকূড় গ্রামের পিয়াল (২২), সুইপার কলোনীর অন্তর (২২) ও জীবন (২৩)।
এদিকে, তিন দফা দাবিতে অব্যাহত রয়েছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। তাঁরা অবরোধ করে রেখেছেন ঢাকা-খুলনা মহসড়ক।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী সদর থানা ঘেরাও করেন। একই সঙ্গে তাঁরা তিন দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন।
দলগত ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক অটো রিকশা থেকে অন্তত সাত জন তাঁদের জোর করে তুলে নেয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে। সেখানে ওই ছাত্রীর সহপাঠীকে মারধর করে অপহরণকারীরা। পরে ছাত্রীকে দলগত ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছি।’
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের টিম এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।’
এদিকে, গতকাল রাতে দেওয়া আল্টিমেটামে আজ ভোর ৬টার মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার পর থেকে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। এতে বন্ধ হয়ে আছে যানচলাচল। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।