বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একদিন বিশ্বের সেরা হবে : সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একদিন বিশ্বের সেরা সেনাবাহিনী হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রামু সেনানিবাসে কক্সবাজার এরিয়ায় সেনানিবাসে নব প্রতিষ্ঠিত ৭ ইউনিটের পতাকা উত্তোলনকালে সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করেন।
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার মেজর এরশাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকশ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম দেন।
উপস্থিত সেনাসদস্যদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে সেনাবাহিনী প্রধান সবাইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার মাধ্যমে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
সেনাপ্রধান আরো বলেন, এই এলাকায় ১০ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের যে আকাঙ্ক্ষা সূচিত হয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নে ১০ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিটি সদস্য এগিয়ে আসবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে যাবেন। ১০ পদাতিক ডিভিশনের আরো কিছু নবগঠিত ইউনিটের যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক উন্মোচিত হলো।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান রামু সেনানিবাসের নির্মাণাধীন ‘শেকড়’ নামে দশ দিগন্ত জাদুঘরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সামরিক ও অসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার রামুতে দুই বছর আগে ১০ পদাতিক ডিভিশন গঠিত হয়। নবপ্রতিষ্ঠিত রামু সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নতুন এ সাতটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।