শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে

সেনা কর্মকর্তাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষাকেই জীবনের প্রথম ও প্রধান ব্রত হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক। প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৭৪তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের জেন্টেলম্যান ও জেন্টেলউইম্যান ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু বেলাল মো. শফিউল হক বলেন, ‘আমরা একটি পরিবর্তনশীল সময় অতিক্রম করছি। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এই পরিবর্তনের সঙ্গে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনই হলো পরিবর্তনশীল যুগের প্রধান বাহন। শিক্ষাকে সব পর্যায়ে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে সেনাবাহিনী। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিএমএ পাঠ্যসূচিতে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক যুদ্ধের কলাকৌশল এবং ভিশন-২০৩০ সামনে রেখে ভবিষ্যতে আরো নতুন বিভাগ সংযোজন করার ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান সেনাপ্রধান। বিএমএর এই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষিত ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মকর্তা হিসেবে এ বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে নতুন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও মার্চপাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার তানভীর আহমেদ রানা সেরা চৌকষ হিসেবে সেনাপ্রধানের কাছ থেকে সোর্ড অব অনার লাভ করেন। এ ছাড়া আন্তকোম্পানি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কোম্পানিকে গ্রীষ্মকালীন টার্মের জন্য বিএমএ পতাকা দেওয়া হয়।
পরে ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। আজ ১৪৭ জন বাংলাদেশি, দুজন ফিলিস্তিনি ও একজন শ্রীলংকান ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ১৩৩ জন পুরুষ ও ১৪ নারী ক্যাডেট রয়েছেন।
রাষ্টপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।