চক্ষুদান শেষ, মেয়ে এলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য পুনীতের
ভারতের কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শীর্ষ তারকা পুনীত রাজকুমারের মরণোত্তর চক্ষুদান কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অভিনেতার ইচ্ছে অনুসারে চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর মৃত্যুর পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পাদন করেছেন।
অভিনেতা চেতন কুমার অহিংস এক টুইট বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে খবর ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুনীত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন।
গতকাল শুক্রবার জিমে শরীরচর্চা করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন পুনীত রাজকুমার। এর পর বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পুনীত রাজকুমারের মেয়ে পৌঁছালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেঙ্গালুরুতে আজ সন্ধ্যায় অথবা আগামীকাল শেষকৃত্য হবে পুনীতের। শনিবার বিকেলেও পুনিতের দেহ রাখা থাকবে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, পুনীত রাজকুমারের মৃত্যুতে কর্ণাটক সরকার বাড়তি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুতে ৩১ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিশু অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পুনীত রাজকুমার। ১২টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন; পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় অভিনয় করে কন্নড় সিনেমায় তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। প্রায় ২৯টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন পুনীত রাজকুমার। ছিলেন কন্নড় চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।