মায়ের সঙ্গে কখনও কথা বলার সুযোগ হলে যা বলবেন দীঘি
জন্মদিন মায়ের খুব প্রিয় ছিল, তাই ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই অন্তর্জালে মাকে শুভেচ্ছা জানতে ভুল হলো না চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। গেল ১০ বছর মাকে এ মাধ্যমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান দীঘি। সে শুভেচ্ছা বার্তায় থাকে মন খারাপের বাক্য, থাকে চাপা আক্ষেপ। কারণ, ২০১১ সালে দীঘির মা চিত্রনায়িকা দোয়েল ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন।
মায়ের জন্মদিনে আবেগী দীঘি জানালেন, প্রতিনিয়তই মাকে মিস করেন তিনি। তাঁর ভাষ্যে সেটা এমন, ‘যখন কোনো সুখবর বা ভালো কিছু হয় আমার সঙ্গে, তখন অনেক বেশি (মিস) করি। কিংবা যখন খারাপ সময়ও কাটাই, তখনও মিস করি; মনে হয়, মাকে বলতে পারলে ভালো লাগত। মায়ের সঙ্গে শেয়ার করলে... শূন্যতা অনেক বেশি অনুভব করি।’
বিশেষ দিনে দীঘির মনে পড়ে, ‘আমার মায়ের জন্মদিন খুব প্রিয় ছিল, তাঁর হোক কিংবা যার হোক; বার্থডে পার্টি তাঁর ভালো লাগত। এই বিশেষ দিনগুলোয় তাঁকে আরও বেশি মনে পড়ে। আমরা প্রায়ই কাজ না থাকলে, শুটিং না থাকলে, পরিবার নিয়ে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হতাম। এই জিনিসটা আমার মায়ের খুব প্রিয় ছিল। এসব দিনে এই দিনগুলো খুব মনে পড়ে।’
মায়ের সঙ্গে যদি কখনও কথা বলার সুযোগ হয় দীঘি যে কথাগুলো মাকে বলতে চান, তা বলেছেন এনটিভি অনলাইনকে। দীঘির সেই বলতে না পারা কথাগুলো এমন—‘আজকে যা হয়েছি, যেখানে আছি, অবশ্যই মায়ের জন্য আছি। তাঁকে প্রতিনিয়ত মিস করি। সে সঙ্গে থাকলে আরও ভালো কিছু হতো, ভালো কিছু আসতো। আজকে মানুষ দীঘি নামটা চেনে দীঘির মায়ের জন্য। ছোট দীঘি থেকে বড় দীঘি পর্যন্ত সব কিছু... আট বছর ক্যামেরার বাইরে থাকার পরও মানুষ দীঘিকে মনে রেখেছে, পুরোটাই মার অবদান। উনি দীঘিকে বানিয়ে রেখেছেন বলে দীঘি এখনও চলতে পারছে। এতটুকু আমি চোখ বুজে বলতে পারি। আমার ক্যারিয়ার যত ওপরেই যাবে, সবটাই আমার মায়ের অবদান সব সময়।’
২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে ৩৬টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন। মাকে হারনোর পর নিয়েছেন দীর্ঘ বিরতি। সম্প্রতি হয়েছেন চিত্রনায়িকা। দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়া বর্তমানে তাঁকে আগলে রাখছেন।