শাকিবের মা ইলিশ রেঁধে খাইয়েছেন অপুকে, এক ছাদের নিচে থাকছেন শাকিব-অপু?
সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক জোড়া লাগছে অপু বিশ্বাসের। গেল বছরের ২৫ নভেম্বর ‘অপুর যাতায়াত বেড়েছে শাকিব খানের বাসায়’ এমন শিরোনামের খবর প্রকাশ করে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিল এনটিভি অনলাইন।
গেল কয়েকদিনে সাবেক শ্বশুরবাড়ির মানুষদের নিয়ে অপুর বিশ্বাসের একাধিক মন্তব্যে গুঞ্জনের সত্যতা মিলছে। তবে বিচ্ছেদ ভুলে আবার এক ছাদের নিচে থাকবেন শাকিব-অপু? এমন প্রশ্নের উত্তর রহস্য ঘেরা উত্তর, ‘সেটা এখন বলব না, সময় বলে দেবে। আগে কী করছে না করছে, সেটা আমি জানি না, শাকিবের এখন অনেক পরিবর্তন লক্ষ করেছি। সন্তান, পরিবার-পরিজনের প্রতি দারুণ আবেগ কাজ করে তার। শাকিব একজন ভালো মনের মানুষ।’
শাকিব প্রসঙ্গে এখন অপুর ভাষ্য, ‘আমরা দুজন মিলেই জয়কে স্কুল থেকে আনা-নেওয়া করি। কখনো আমি রেখে আসি, শাকিব নিয়ে আসে। শাকিব রেখে আসে, আমি নিয়ে আসি। তা ছাড়া শাকিব আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা মিডিয়াতে কাজের ব্যাপারেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দেয়।’
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে আরও এক তথ্য জানিয়েছেন অপু। তাঁর ভাষ্যে গল্পটা এমন, ‘কয়েক দিন আগে আমি শাশুড়ির কাছে ফোন করে ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিলাম। মা বললেন, “ঠিক আছে আমি রান্না করছি। একটু পর ফোন করে জানাও সঙ্গে কী দিয়ে রান্না করব।” এর পর আমি ফোন রেখে ভুলে গেছি। হঠাৎই শাশুড়ির ফোন। ধমকের স্বরে বললেন, “এই মেয়ে, তুমি কী দিয়ে ইলিশ খাবে, জানাতে বললাম, দেরি করছ কেন?” এই হলে আমার শাশুড়ি। সত্য কথা বলি, আমার জীবনে ভুলভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু আমি একটা পর্যায়ে এসে বুঝেছি, তাঁরা কতটা ভালো মনের মানুষ। এখন কতটা আমাকে ভালোবাসেন তাঁরা।’
শাকিব খান ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গুলশানের বাড়িতে কঠোর গোপনীয়তায় নিজের সর্বাধিক সিনেমার নায়িকা অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। প্রায় ১০ বছর পর এক সন্তানের খবরের সঙ্গে নিজেদের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে নিয়ে আসেন অপু। এসব কারণে ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়। শাকিব-অপুর ১০ বছরের সংসারে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে জয় মায়ের সঙ্গে থাকে। পড়াশোনা করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে।