ভারতে পর্নোসাইট বন্ধ
বাড়ছে বলিউড তারকাদের প্রতিবাদ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/05/photo-1438777349.jpg)
এককালের নীলছবির তারকা সানি লিওন এখন মূলধারার বলিউড ছবির তারকা। তিনি তেমন কোনো একটা প্রতিক্রিয়া না জানালেও পর্নোসাইট বন্ধের ঘোষণায় বলিউডের বহু তারকাই সরাসরি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ব্লুগ্যাপের খবরে জানা গেল, বিশাল দাদলানি, রামগোপাল ভার্মার পর আরো অনেক তারকাই এই ‘নিষেধাজ্ঞা’য় বিরক্ত। এ তালিকায় রয়েছেন সোনম কাপুর, আরশাদ ওয়ার্সির মতো তারকারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে নিজেদের মতামত।
সোনম কাপুরের টু্ইট একটু বেশিই ঝাঁঝাল, ‘সেই সব মূর্খকে নিষিদ্ধ করুন যারা মনে করছে যে এই পদক্ষেপে ভারতীয়দের মনোভাবে পরিবর্তন আসবে।’
তারকা গায়িকা সোনা মহাপাত্র আবার তাঁর টুইটে বাংলাদেশে বলিউড গান-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার জের টেনেছেন, ‘গোমাংস? অ্যালকোহল? পর্নো? ভারতের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞার চাকায় সওয়ারি! # হোয়াইব্যানবলিউড, সবখানে ফালতু প্রশ্ন। আহাহা।’
বিশাল মন্তব্য করেছেন ‘মুন্নাভাই’ এর ‘সার্কিট’ আরশাদ ওয়ার্সি- ‘পর্নো বন্ধ করলে আমরা হয়তো যৌনকর্ম ভুলে যাব, তাতে হয়তো জনসংখ্যাও খানিকটা কমবে...বাহ, সরকারের তো অসামান্য দূরদৃষ্টি! যেহেতু আমরা ক্রিমিনাল রেকর্ডওয়ালা রাজনীতিবিদদের নিষিদ্ধ করতে পারব না, হুমমম...কাজেই চলুন ম্যাগি, গাড়ির গ্লাস, গরুর মাংস, অ্যালকোহল কিংবা পর্নো নিষিদ্ধ করে দেই!’
‘মাই ব্রাদার নিখিল’, ‘আই অ্যাম’ ছবির পরিচালক অনির (অনির্বাণ ধর) তুলেছেন প্রশ্ন, ‘কামসূত্রের বইগুলোও কি এখন নিষিদ্ধ করা হবে?’
কাজলের বোন তানিশার কথা, প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সবারই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সুতরাং এ ধরনের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করেন না তিনি।
হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘প্রিয় ভারতীয় সরকার, দয়া করে ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ (ভারতীয় সংবিধানের) বিলুপ্ত করুন এবং যারা বলছে পর্নো বন্ধ করা অসাংবিধানিক, তাদের মুখ বন্ধ করে দিন!’
এমটিভি রোডিজ তারকা রঘু রাম করেছেন সবচেয়ে কড়াধাঁচের ঠাট্টা, ‘এখন তাহলে বিজেপির মন্ত্রীরা সংসদ অধিবেশনে বসে কি দেখবেন? হাহাহা!’
তথ্য যোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনায় ৮৫৭টি ইউআরএল বন্ধ করার নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানান এক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। ঘটনা ৩১ জুলাইয়ের। ওই দিনই এই সাইটগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ভয়াবহভাবে বেড়ে চলা যৌন সহিংসতা ও অপরাধের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে সরকারের তরফ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো দাপ্তরিক ঘোষণা বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।