রমজানে ডায়াবেটিক রোগীরা কখন হাঁটবেন
রমজানের সময় ক্রনিক রোগীদের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাক্তারেরা আলাদা পরমর্শ দিয়ে থাকেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের ইফতার ও সেহরি সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন ডিএমসি নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
আমরা রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে যেটা দেখি, অনেকে যেটা করে থাকেন, সেটি হচ্ছে, ইফতার করছেন, কিন্তু ইফতারের পরে রাতের যে খাবারের কথা আমরা বলে থাকি, সেটি আসলে বাদ দিচ্ছেন এবং পরবর্তী সময়ে একেবারের সেহরির যে খাবারটি, সেটি গ্রহণ করছেন। এ বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শামীম আল মামুন বলেন, যৌক্তিকতা অবশ্যই নেই। আপনাকে যেটা করতে হবে, ইফতারটা হালকা করে করতে হবে। ইফতারের পরে একটা রেস্টের ব্যাপার থাকে। সে রেস্টটা করে আপনি তারাবি পড়তে যেতে পারেন। তারাবি পড়ে এসে তারপর আপনি রাতের খাবার খাবেন।
আমরা সাধারণত যেমনটি বলে থাকি যে ডায়াবেটিক রোগীরা একটি চার্ট মেইনটেইন করে থাকেন, সকালের খাবারের কিংবা দুপুরের খাবারের কিংবা রাতের খাবারের; মাঝে কিছু শর্ট মিল গ্রহণ করে থাকেন। সেই পদ্ধতিটি রমজান মাসে কীভাবে ফলো করা হবে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শামীম আল মামুন বলেন, সেই পদ্ধতিটা ফলো করার উপায় এখানে নেই। দুই আপনাকে সুগার মনিটরিং করতে হবে। কখন সুগারটা আপনি মনিটরিং করবেন, আমরা বলি দুই বার মাস্ট। একবার হচ্ছে, সেহরির আগে আপনি দেখবেন সুগারটা কত, যেটা দিয়ে মাত্রা ঠিক করে দেব। আরেকটা হচ্ছে যখন আপনার খারাপ লাগবে।
আমরা অনেক ক্ষেত্রেই জানি, ডায়াবেটিস রোগী যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সকালে হেঁটে থাকেন। আবার অনেকে বিকেলে হেঁটে থাকেন। আমি যদি রমজান মাসের কথা আপনাকে জিজ্ঞেস করি, এই সময় এক্সারসাইজ বা হাঁটার যে অভ্যাস, সেটির উপযুক্ত সময় কোনটি, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শামীম আল মামুন বলেন, সিয়াম সাধনার মাস। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে মানুষ সিয়াম সাধনা করে। সেই সাধনার সময় হাঁটা আমরা সম্পূর্ণ নিষেধ করে দিই। আপনি যে কাজটি করতে পারেন, নরমালি আমরা বলি ব্যাপারটা, তারাবির নামাজ দীর্ঘক্ষণ যে পড়ে, এটা আমরা এক্সারসাইজ হিসেবে ধরে নিই। মানে যারা তারাবির নামাজ রেগুলার পড়ে, তাদের এক্সারসাইজ করার কোনও প্রয়োজন নেই। আর যারা তারাবির নামাজ পড়ে না, তাদের বলি যে আপনি ইফতারের এক-দুঘণ্টা পরে আপনি ৩০ মিনিট হালকা হাঁটতে পারেন। বেশি এক্সারসাইজ আমরা এ সময়ে নিষেধ করে দিই।
রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।