সহজে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, এর প্রতিকারই বা কী।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ মাহফুজা নাসরীন শম্পা। তিনি বলেন, দুই কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। একটি শারীরিক কারণে, অপরটি খাদ্যাভ্যাসের কারণে। দেখা যায় যে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন, তাঁদের খাবারে ফাইবারটা খুবই কম থাকে। তাঁরা যদি রেগুলার লিফি ভেজিটেবল, যেগুলো ফাইবার-রিচ, সে সমস্ত খাবার ইনক্লুড করেন, তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সহজে দূর হয়ে যায়। সেগুলো হচ্ছে শাকজাতীয় খাবার, যে ফলগুলো খোসাসহ খাওয়া যায়, সে ফলগুলো যদি খাবারের তালিকায় রাখেন, তাহলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সহজেই দূর হয়।
মাহফুজা নাসরীন শম্পা বলেন, আরেকটি কারণ দেখা যায়, যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁরা পানি খুব কম খান। তাঁরা যদি রেগুলার দেড়-থেকে দুই লিটার পানি খান, তাহলে কিন্তু বাউয়েল মুভমেন্টটা খুব সুন্দর হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীরা দেখা যায় যে লো-ফাইবার ইনটেক করেন, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজটা কম থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা যদি রেগুলার যেকোনো ফিজিক্যাল অ্যাকটিভি করেন, তাহলে তাঁদের বাউয়েল মুভমেন্টটা রেগুলার হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের উদ্দেশে মাহফুজা নাসরীন শম্পার পরামর্শ, সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খান, তাহলে বাউয়েল মুভমেন্টটা খুব ভালো হবে। আরেকটি পরামর্শ হচ্ছে, রাতে একমুঠো কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই কিসমিস খেতে হবে। তাহলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের যদি রাতে ঘুমানোর আগে ইসপগুলের ভূসি, জাস্ট দু-চামচ ইসপগুলের ভূসি পানিতে দিয়ে খেতে দেন, সে ক্ষেত্রেও বাউয়েল মুভমেন্ট বেশ ভালো হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দুশ্চিন্তামুক্তও থাকতে হবে। সেইসাথে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে এবং ফাইবার-রিচ খাবারগুলো খেতে হবে। ময়দার তৈরি খাবার কমিয়ে ফেলতে হবে।