স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা

আজকের সুস্থ, সবল ও বুদ্ধিদীপ্ত শিশু আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই ভবিষ্যৎ দেশের কর্ণধার এসব শিশুর শারীরিক ও মানসিক পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে শুরু হোক শিক্ষাজীবন, শুরু হোক পথচলা।
স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুর কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। এ ক্ষেত্রে যেগুলো করবেন :
১. দাঁতের পরীক্ষা
২. রক্তচাপের পরিমাপ
৩. উচ্চতা ও ওজনের পরিমাপ
৪. কান ও চোখের পরীক্ষা
৫. টিবিসহ অন্যান্য সংক্রমণ রোগের পরীক্ষা করতে হবে
৬. শিশুর আচরণের কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না, সেটি দেখতে হবে
কখন শিশুদের স্কুলে যাওয়া ঠিক নয়
১. ডায়রিয়া বা মলের সঙ্গে রক্ত বা মিউকাস এলে
২. কোনো অসুস্থতার কারণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ বা তার বেশি বমি হলে
৩. চামড়ায় সংক্রমণ থেকে ঘা-পাঁচড়া হলে
৪. অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট হলে
৫. শিশুর চোখ উঠলে
৬. অন্য কোনো সংক্রমণজনিত কারণে অসুস্থতার ক্ষেত্রে
স্কুলগামী শিশুকে যা শেখাবেন
১. শিশুদের সর্দি-কাশি হলে সেটি যাতে অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মুখে টিস্যু দিয়ে তাকে হাঁচি বা কাশতে শেখাতে হবে।
২. হাঁচি বা কাশির সময় মুখে হাত দিতে মানা করতে হবে। কারণ, মুখে হাত দিয়ে হাঁচলে বা কাশলে হাতের মাধ্যমে সেই জীবাণু ছড়িয়ে পড়বে। দেখা গেছে, বাতাসের চেয়ে হাতের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।
৩. শিশুকে শেখাতে হবে সে যেন তার কাপ, খাওয়ার বাসনপত্র, তোয়ালে বা গামছা, টুথব্রাশ অন্যদের ব্যবহার করতে না দেয়।
৪. সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার হলো নিয়মিত হাত ধোয়া। হাত ধোয়ার জন্য সাবান ব্যবহার করা।
৫. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, চোখ বা মুখে হাত না দেওয়া।
৬. কারো ছোঁয়াচে রোগ হলে তার কাছ থেকে শিশুকে একটু দূরে রাখার চেষ্টা করুন। তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে আপনার শিশুও অসুস্থ হতে পারে।
শিশুর শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি
১. শিশুকে নিয়মিত সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন বয়স ও কাজের অনুপাতে। সঠিক খাদ্য গ্রহণ শিশুর যথাযথ বৃদ্ধি, শারীরিক কার্যকলাপ, বোধশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ সুনিশ্চিত করে।
২. শিশুর ওপর কোনো কিছু না চাপিয়ে তাকে আদর, ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে এবং উৎসাহ দিতে হবে। এতে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার।