বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস : বিষণ্ণতার লক্ষণ

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আসুন, বিষণ্ণতা নিয়ে কথা বলি’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনের মতে, দুনিয়াব্যপী ৩০ কোটি মানুষ ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। এতে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিসহ আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।
শিশুদের মধ্যে ২ শতাংশ এবং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ বিষণ্ণতায় ভুগে থাকে। ৬৫ বছরের অধিক বয়সের ব্যক্তিরা অন্যদের চেয়ে চার গুণ বেশি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয় বা ভুগে থাকেন।
বাংলাদেশিদের বিষণ্ণতা নিয়ে ভাবনা
বাংলাদেশেও এ রোগ বেড়েই চলছে। এ দেশে মানসিক রোগ যেন অবহেলিত। এ দেশে মানসিক রোগী মানে পাগল। জিনে ধরেছে, নয়তো পরী ধরেছে অথবা কোনো খারাপ আত্মা বা ভূত-প্রেত আসর করেছে। এ ভাবনা ও চিন্তাধারা রোগীকে করে তোলে অসহায়।
বিষণ্ণতার লক্ষণ
১. জীবনে উদ্যমের অভাব, আত্মবিশ্বাসের অভাব
২. আশাহীনতা, অসহায়ত্ব, হতাশা
৩. আত্ম-অপরাধবোধ
৪. বেশি বেশি ঘুমানো অথবা একদমই ঘুম না হওয়া
৫. অলস হয়ে যাওয়া বা সব সময় ক্লান্তি ভাব আসা
৬. অস্থিরতা
৭. স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
৮. সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়া
৯. আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা করা ইত্যাদি
বিষণ্ণতা থেকে বাঁচতে
১. একা একা বেশি সময় পার করবেন না
২. ভুলেও মাদকের প্রতি আসক্ত হবেন না
৩. সমাজে আপনার একটি দায়িত্ব আছে, সেটা ভাবুন
৪. আপনার জীবনের অনেক মূল্য আছে। আপনি ইচ্ছা করলেই আরো ১০ জনের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারেন—এ রকম চিন্তা মাথায় আনুন।
৫. প্রাণ খুলে হাসুন
৬. মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
৭. ক্যাফেইন নেওয়া কমিয়ে দিন
৮. অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন
৯. পুষ্টিকর খাবার খান
১০. পর্যাপ্ত ঘুমান
১১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
১২. সৃজনশীল হয়ে উঠুন
১৩. সমস্যার কথা পরিবার ও ভালো বন্ধুকে শেয়ার করুন। বন্ধুকে পাশে রাখুন।
১৪. প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার।