শিশুর ভাইরাল জ্বরে প্রাথমিক পরামর্শ

ইদানীং যেন জ্বরের মৌসুম চলছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই দেখা যাচ্ছে কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বরের শুরুতে প্রাথমিক কিছু কাজ করলে রোগীর কিছুটা আরাম বোধ হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮০৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মুহাম্মদ সুলতান উদ্দীন। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ভাইরাল জ্বরে পরামর্শ কী?
উত্তর : জ্বর প্রশমন করার জন্য আমরা পরামর্শ দিই যে কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত নিয়মিত মুছতে থাকবেন। যতক্ষণ জ্বর ১০০ বা তার বেশি থাকবে, কিছুক্ষণ পরপর বাচ্চাকে কুসুম গরম পানি দিয়ে সারা শরীর মুছে দেবেন। যদি থার্মোমিটারে জ্বর ১০১ ডিগ্রি বা তার চেয়ে বেশি ধরা পড়ে, তাহলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ, বাচ্চার বয়স ও শারীরিক ওজনের সঙ্গে মিলিয়ে চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর পর খাওয়াবেন। জ্বরকে ১০০-এর নিচে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য দুটো চিকিৎসা উপকারী। একটি হলো গা মুছে দেওয়া বা শরীর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছতে থাকা। আরেকটি হলো পরিমাণমতো প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর পর খাওয়ানো। এইভাবে জ্বরকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাহলে যদি সাধারণ জ্বর হয় (যেগুলোকে ভাইরাল জ্বর বলে সেগুলো যদি হয়) দুদিন, তিন দিন বা চতুর্থ দিনে আপনাআপনি কমে যাবে।
সাধারণ ভাইরাল ফিবার হলো বাচ্চাদের জ্বরের বেশিরভাগ কারণ। সে জন্য তড়িঘড়ি করে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার না করাই শ্রেয়। বরং যদি সত্যিকারের মারাত্মক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।