নারীদের সুস্থতায় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

নারীর সুস্থতার জন্য বছরে অন্তত দুবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা এবং দ্রুত রোগ সারানো সম্ভব। এ রকম আরো কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে একজন নারী সুস্থ থাকতে পারবেন।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৭৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রওশন আরা। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে আছেন।
প্রশ্ন : নারীস্বাস্থ্যের সুস্থতা ধরে রাখার জন্য কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?
উত্তর : বর্তমান যুগের নারীরা খুবই কর্মব্যস্ত। এত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁরা পারিবারিক, সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এর মাঝেও তিনি নিজে সুস্থ থাকার জন্য কিছু সময় বের করবেন। অন্তত বছরে যদি তিনি দুবার চিকিৎসকের কাছে আসেন, তাহলে যেকোনো রোগ আগেভাগে নির্ণয় করা সম্ভব। যেকোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রামে তিনি ঢুকতে পারেন। যেকোনো রোগ যদি আগেভাগে নির্ণয় করা যায়, এর নিরাময়ও সম্ভব। কীভাবে তিনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন, শারীরিকভাবে সেটি জানা যাবে।
স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম বছরে দুবার করার দরকার পড়ে না। তবে তিনি নিয়মিত হেলথ চেকআপে আসতে পারেন।
প্রশ্ন : শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাটা কীভাবে রাখবে?
উত্তর : নারীদের মানসিক বিষয়টি আসলে অনেকখানি অবহেলিত হয়। তিনি কি চাইছেন, তিনি কি ভাবছেন এর সঙ্গে সবাই একমত হয় না। তার মনের অবস্থাটা জেনে সেভাবে তাঁর সঙ্গে চলা উচিত। এটিই আসলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি। আর সামাজিক হলো সবার সঙ্গে চলার যে স্বাধীনতা, যেখানে দরকার সেখানে যাওয়া, এটুকু যেন তিনি নিশ্চিত করতে পারেন।
প্রশ্ন : নারীরা ঘর ও বাইরে দুই জায়গাতেই কাজ করছে। কোন কোন ধরনের শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে নারীরা যেতে পারে? বা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন?
উত্তর : আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বা উন্নয়নশীল দেশে যেই রোগগুলো খুব বেশি, সেগুলোর মধ্যে জরায়ুর ক্যানসার একটি। জরায়ুর ক্যানসারে অনেক নারীরই মৃত্যু হয়। সাধারণত দেখা যাচ্ছে যে প্রতিবছর ২৮ জন নারী জরায়ুর ক্যানসারে ভোগেন বা জরায়ুর ক্যানসারে মারা যান। এর পর আসে স্তন ক্যানসার। প্রতি নয়জনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যানসারে ভোগেন। অতএব, একজন নারী যদি সব সময় চেকআপের মধ্যে থাকে, তাহলে আমরা তাকে স্ক্রিনিং প্রোগ্রামগুলোতে আনতে পারি। যেমন—জরায়ুমুখের ক্যানসারের স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, স্তন ক্যানসারের স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম। অতএব, এ ধরনের স্ক্রিনিং প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে যদি তিনি থাকেন, যেকোনো সময় আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে পারব। কারণ স্ক্রিনিং বিষয়টি এমন যে রোগের উপসর্গ দেখার আগেই সেটি নির্ণয় করা যায়।