নবজাতকের মাসিপিসি হলে কী করবেন?

জন্মের পর তিন/চার সপ্তাহের মধ্যে নবজাত শিশুর সারা শরীরে ছোট ফুস্কুরি বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। সাধারণ লোকজন এ জাতীয় চর্মরোগকে ‘মাসিপিসি’ বলে থাকেন। তাঁদের ধারণা, এটি নবজাতকের হয়েই থাকে। যদিও এটি খুব সাধারণ ব্যাপার, তবে সব শিশুরই যে জন্মের পর মাসিপিসি দেখা দেবে, এমন কোনো কথা নেই।
সাধারণত গুমোট পরিবেশে, সিনথেটিক কাপড়চোপড়, ময়লা কাপড়, ন্যাকড়া অথবা শিশুর ব্যবহৃত কোনো জিনিসের সংস্পর্শে এটি হতে পারে। এর সঙ্গে জ্বর বা অসুস্থতার অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না বলে ওষুধপত্রের কোনো দরকার নেই। পাঁচ/ছয় দিনের মধ্যে এটি এমনিতেই চলে যায়। এ জন্য চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ইরাইথিমা টক্সিকাম নিউনেটারাম বলে। তবে এ সময়ে শিশুর গায়ে তেল মাখা যাবে না। শিশুর কাপড়চোপড় কেচে পরিষ্কার রাখতে হবে। কাপড় ধোয়ার পানিতে কোনো অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন, যেমন—ডেটল, সেপনিল ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
এ ধরনের সমস্যায় অনেকে প্রসূতি মাকে মাছ, ডিম, মাংস ইত্যাদি খেতে দেন না। তাঁদের ধারণা, মা এসব খাবার খাওয়ার পর বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর কারণেই বাচ্চার মাসিপিসি হয়েছে। এ কথাটি আসলে ঠিক নয়। প্রসূতি মা মাছ, মাংস, ডিমসহ সব খাবারই খাবে এবং বাচ্চাকেও দুধ পান করাবে। তবে মাসিপিসির সঙ্গে জ্বর থাকলে এবং র্যাশগুলোর মধ্যে পানি বা পুঁজ জমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।