হিমোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীর জীবন যাপন যেমন হবে

হিমোফিলিয়া জন্মগত রক্তরোগ। সতর্কভাবে জীবন যাপন করলে এই রোগী অনেকদিন সুস্থ থাকতে পারে। হিমোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীর জীবন যাপনের প্রসঙ্গে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৬০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মুনিম আহমেদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হিমোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীর কেমন জীবন যাপন করা উচিত?
উত্তর : এখানে তার জীবন যাপনের দুটো অংশ। এক হলো, সে কীভাবে চলবে, আরেকটি হলো যে সে যদি কখনো আক্রান্ত হয়ে যায়, তখন তার দ্রুত কী কী করণীয় করার রয়েছে, সেটি। প্রথমে হলো, আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো কিছু সে করবে না। যেমন ছোটবেলা থেকে সে ফুটবল, ক্রিকেট, কুস্তি এই ধরনের কোনো খেলা সে খেলবে না। দুই হলো, যেসব কাজ করলে রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেগুলো সে পরিহার করবে। বিশেষ করে মাথায় আঘাত করবে এই ধরনের সব কিছু তাকে এড়িয়ে চলতে হবে।
এরপর যদি আঘাত পেয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়। আঘাত পেয়ে গেলে প্রথম কাজ হলো সেই অংশটিকে বিশ্রাম দেওয়া। দেখা গেল ঢাকা থেকে অনেক দূরে নওগাঁ বা দিনাজপুরের হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত কোনো রোগী আঘাত পেয়েছে, তার রক্তপাত হয়েছে, এখন সেই রক্তপাতের জন্য সে সঙ্গে সঙ্গে দৌঁড়ে বিশেষজ্ঞের কাছে চলে আসতে চাইছে। আমরা বলব, চার থেকে দশ ঘণ্টা সে নড়াচড়া করবে না। সে ওই অংশকে বিশ্রাম দেবে। যেখানে আঘাত পেয়েছে সেই অংশটা একটু উঁচু করে রাখবে। ব্যথানাশক ওষুধ খাবে। আর সব থেকে জরুরি যেটা সেটা হলো, সেখানে সে কোল্ড কমপ্রেশন দেবে। মানে ঠান্ডা স্যাঁক দেবে। গরম স্যাঁক দেবে না। ঠান্ডা স্যাঁক দিলে হবে কি, তার ওখানে যে শিরা উপশিরাগুলো রয়েছে, সেগুলো সংকুচিত হবে, রক্তপাত কমে আসবে।
প্রশ্ন : যদি কোথাও কেটে যায়, রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তখন কী হবে?
উত্তর : তখন এটি চাপ দিয়ে রাখতে হয়। এটি সবচেয়ে ভালো উপায়। আর সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফ্যাক্টর রিপ্লেসমেন্টে চলে যেতে হবে। আসলে হাসপাতালে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।