শিশুদের সাধারণ জন্মগত ত্রুটিগুলো কী?
জন্মের সময় শারীরিকভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ত্রুটিকে সাধারণত জন্মগত ত্রুটি বলা হয়। শিশুদের বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হয়। শিশুদের জন্মগত ত্রুটির বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১২৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তানভীর আহমেদ।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কী কী জন্মগত ত্রুটি নিয়ে একটি শিশুর জন্ম হতে পারে?
উত্তর : যদি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে আমরা আলোচনা করি, প্রথমেই চলে আসে ক্ল্যাফ্ট লিপ প্যালেট (ঠোঁট কাটা, তালু কাটা)। তবে আজ এ প্রসঙ্গে কথা না বলে অন্য জন্মগত ত্রুটিগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই।
জন্মের পর পর দেখা যাচ্ছে, ছোট ছেলে বা মেয়ের হয়তো দুটো আঙুল অথবা চারটা আঙুল অথবা পাঁচটা আঙুলই লাগানো থাকছে। এক হাতে হতে পারে, দুই হাতে হতে পারে। চার হাত-পায়ে হতে পারে। আর কী থাকে? একটি বাড়তি আঙুল থাকতে পারে। এক হাতে, দুই হাতে অথবা চার হাত-পায়ে। শুধু একটি নয়। দেখা যাচ্ছে, দুই পাশেই থাকতে পারে। অনেকের দেখা যায়, এক পাশে সাত থেকে আটটা আঙুল, আরেক হাতে সাত থেকে আটটা আঙুল। এগুলোকে বলা হয় মিরর হ্যান্ড। হাত-পা দুই জায়গাতেই থাকতে পারে।
এরপর দেখা যায়, জন্মের পর চোখে একটা কালো লাল দাগ থাকতে পারে। সাধারণত মুখে খুব বেশি হয়। যেহেতু ছোট বাচ্চা, সবার দৃষ্টি থাকে মুখে। দেখা যায়, মুখে লাল একটি দাগ। অথবা অনেকে ভাবে পিঁপড়া অথবা মশার কামড়। কিন্তু দেখা যায় যে তিন/ চার দিন বা পাঁচ দিন পর থেকে হঠাৎ করে এটি বড় হওয়া শুরু করে। হওয়ার পর দেখা যায় বড় একটি লাল দাগ। আস্তে আস্তে এটি কালো দাগ হয়ে যায়। একে বলা হয় হেমানজিওমা। এর পরে কী থাকতে পারে, শরীরে কোথাও একটি ছোট কালো দাগ, তিলের মতো। পরে দেখা যায় আস্তে আস্তে এটি বড় হচ্ছে। একে দেখা যায় কনজেনিটাল নিভাস। শরীরের একটি অংশ দেখা যায় খুব কালো হয়ে গেছে। এরপর লিম্ফেনজিওমার মতো কিছু জিনিস থাকতে পারে। জন্মগতভাবে দেখা যাচ্ছে, একটি হাতের আঙুল বা দুইটা হাতের আঙুল একটু বড় মনে হচ্ছে। চার/ পাঁচ দিন পর থেকে হঠাৎ করে এটি বড় হওয়া শুরু করে। একে লিম্ফেনজিওমা বলে। আবার আরেকটি হতে পারে। একে বলে নিউরোফাইব্রোমা। ঠিক হাতের এই আঙুলগুলো বড় হতে পারে। একটি পুরো হাত বড় হতে পারে অথবা দেখা যায় মুখের একটি অংশ ঝুলে আছে। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন দেখা যায় এক পাশ ঝুলে পড়ে আছে। একে বলা হয় নিউরোফাইব্রোমা।
অনেক সময় দেখা যায়, ছোট বাচ্চা সে ভালোমতো সাক করতে পারছে না, কান্না করছে, তবে মনে হচ্ছে যেন শব্দটা একটু আটকে রয়েছে। জিহ্বাটা দেখা যাচ্ছে নিচের দিকে একটু শক্তভাবে আটকানো। সাধারণত বাংলাদেশে রোগীরা এই জিনিসগুলো নিয়ে আমাদের কাছে আসে।