দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া হলে করণীয়
ডায়রিয়া একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণত ওরস্যালাইন খেলে, বিশ্রাম নিলে ডায়রিয়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু ডায়রিয়া অনেকদিন ধরে চলতে থাকে। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৪১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সাইদুর রহমান। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডায়রিয়া থেকে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : পারসিসটেন্ট ডায়রিয়া হঠাৎ করে শুরু হয়, পাতলা পায়খানা দিয়ে শুরু হয়, তবে ১৪ দিনের বেশি যদি ডায়রিয়া চলতে থাকে, তখন আমরা একে পারসিসটেন্ট ডায়রিয়া বলি।
প্রশ্ন : এই ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : এটি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয়। কারণ, এটি অপুষ্টির জন্ম দিতে পারে। শিশুর জন্য সেটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া করতে পারে। এই সময় সাধারণত ভিটামিন –‘এ’ এর ঘাটতি হতে পারে। এরপর অপুষ্টি হতে পারে। এসব কারণে এই জিনিসটা মোটেই চলতে দেওয়া উচিত নয়।
ওই সময় যদি পাতলা পায়খানা হতে থাকে, তখন ওরস্যালাইন চলবে, খাবারও চলবে সবই চলবে, কিন্তু সে সময় আগে পায়খানা পরীক্ষা করতে হবে। পায়খানা কালচার করতে হবে।
প্রশ্ন : এই যে দীর্ঘমেয়াদি একটি ডায়রিয়া, এর কারণ কী?
উত্তর : এটাও রোগ জীবাণু দিয়ে হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে কতগুলা প্রি ডিসপোজিং ফ্যাক্টর থাকে। যেমন ভিটামিন এ- এর ঘাটতি থাকে, তাহলে গাটের যে অ্যান্ডোকেরিয়ার লাইনিং সেখান ফাঁক হয়ে যেতে পারে। আর আরেকটি বিষয় হলো মা যদি স্বাভাবিক খাবার না খাওয়ান, তাহলে এই ডায়রিয়া নিয়মিত হবে।
যদি কোনো রোগ জীবাণু পাওয়া যায়, তাহলে এর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এ ছাড়া দেখা গেছে এই পারসিসটেন্ট ডায়রিয়াতে তিনটি জিনিস করলে ভালো হয়। তিনটি চিকিৎসা। এর মধ্যে একটি হলো, তাকে আমরা ল্যাকটোজ ফ্রি মিল্ক দিতে পারি, ল্যাকটোজ ফ্রি মিল্ক দিলে অনেক সময় এই ডায়রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া মা সতেজ তরকারি রান্না করে খাওয়ালেও এই ডায়রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।