ব্রণ প্রতিরোধে কী করবেন?
ত্বক পরিষ্কার রাখা, শাক-সবজি খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ব্রণ প্রতিরোধে কাজ করে। এ ছাড়া আরো বিষয় রয়েছে, যেগুলো ব্রণ পরিষ্কারে সহায়ক।
ব্রণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৫৭তম পর্বে কথা বলেছেন সহকারী অধ্যাপক ডা. ইসাবেলা কবির। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণ প্রতিরোধে কী করা যায়?
উত্তর : তৈলাক্ত ত্বক যদি হয়, তাকে ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। দ্বিতীয় হলো, কসমেটিকস যতটা এড়িয়ে যাওয়া যায় তত ভালো। ব্রণ যদি হয়েই যায় একজন ডার্মাটোলজিস্টের কাছে দেখাতে হবে।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের ব্রণ হতে পারে?
উত্তর : দুই ধরনের হতে পারে। প্রদাহজনিত ব্রণ, আর প্রদাহহীন ব্রণ। এ ছাড়া জটিল ধরনের কিছু ব্রণ রয়েছে। একে নডিউসিস্টিক একনে বলি। এ ছাড়া অনেক ধরনের কসমেটিকস ব্যবহার করার কারণে স্ট্রেরয়েডাল একনে হয়। অথবা আমরা একে একনে কসমেটিকাল বলতে পারি।
প্রশ্ন : খাবার দাবারের কোনো সমস্যার কারণে কি ব্রণ হতে পারে?
উত্তর : আগে ডার্মাটোলজিতে বলা হতো, যারা খুব চকোলেট খায়, জাঙ্ক ফুড খায়, তাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। তবে এখন বলা হয় খাবারের সঙ্গে ব্রণের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। তবে জাঙ্ক ফুড যেন এড়িয়ে যাওয়া হয়, এটা বলা হয়। আসলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে সব ধরনের অসুখ থেকেই তো রক্ষা পাওয়া যায়। আর ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো, আমাদের ত্বকটা ঠিক রাখতে হবে। বাইরে তো অনেক দূষিত পরিবেশ, গরম চলছে। বাইরে থেকে যখন বাসায় ফিরি ত্বকটা ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা ত্বককে ভালো করে যদি পরিষ্কার করি, তাহলে অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে।
প্রশ্ন : ব্রণ থেকে কীভাবে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি, সেই বিষয়ে পরামর্শ কী?
উত্তর : প্রথমে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। সবুজ শাক – সবজি খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। আরেক পরামর্শ হলো পার্লারে যেন ফেসিয়াল কম করে। কারণ, ফেসিয়াল বেশি করলে ত্বক ভালো না হয়ে আরো খারাপ হয়। ফেসিয়াল করলে উপরের লেয়ার স্টেটাম কর্নিয়াম, সেটা কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ফেসিয়ালের মধ্যে যে স্টেরয়েড মেটেরিয়াল দেওয়া থাকে, এতে ত্বক ফটো সেনসেটিভ হয়ে যায়। এই কারণে স্টেরয়েড একনে এখন বেশি পাওয়া যায়। কসমেটিকসের মধ্যে রং ফর্সাকারী ক্রিম মেয়েরা খুব পছন্দ করে। সবাই খুব ফর্সা হতে চায়। আমি অনেক রোগী পেয়ে থাকি, যারা বলেন ম্যাডাম, আমাকে একটু ফর্সা করে দেন। আসলে ত্বক ফর্সা হওয়া জরুরি নয়। ত্বক স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। কালো ত্বক ফর্সা ত্বকের তুলনায় ভালো। কালো ত্বকে মেলানিন থাকে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রং ফর্সাকারী ক্রিম মাখার কারণে ত্বক ভালোর চেয়ে খারাপ হচ্ছে দিনে দিনে। তাই আমার পরামর্শ থাকবে, কসমেটিকস কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে দেখে কিনতে হবে। পার্লারে যত কম যাওয়া যায়, তত ভালো। ত্বককে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে।