বিউটি বোন ভেঙে গেলে করণীয়
‘বিউটি বোন’ বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ক্ল্যাভিকল হলো মানুষের কাঁধের দুপাশে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত মোট দুটি হাড়। বিভিন্ন কারণে এই ক্ল্যাভিকল ভেঙে যেতে পারে।
এই হাড় ভেঙে গেলে কী করে বুঝবেন :
- ভাঙা স্থানে ব্যথা হবে।
- হাত দিয়ে ওজন বহন করা সম্ভব হবে না।
- যে পাশে ক্ল্যাভিকল ভাঙবে, সে পাশের হাতটি নড়াচড়ায় ব্যথা হবে।
- এ ছাড়া যেদিকের হাড়টি ভাঙবে, সেদিকের গলার নিচ বরাবর কাঁধে সাধারণত যে গর্ত থাকে তা থাকবে না, অর্থাৎ গর্তটির জায়গা উঁচু থাকবে।
কী করবেন
- সবচেয়ে প্রথম কাজটি হবে একজন অর্থোপেডিকসের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। তবে এ ক্ষেত্রে তেমন ভয়ের কিছু নেই। কারণ, অন্যান্য হাড়ের মতো এ ক্ষেত্রে হাড়ের ভাঙা প্রান্তদ্বয় সরাসরি নিখুঁতভাবে জোড়া লাগানোর দরকার নেই। এতে প্লাস্টারের ঝামেলা নেই, কেবল ‘কলার অ্যান্ড কাফ স্লিং’ অর্থাৎ হাতটি পেটের অবস্থানে রেখে কব্জি ও কনুই পেঁচিয়ে একটি কাপড় কাঁধের সঙ্গে বেঁধে চার থেকে ছয় সপ্তাহ রাখলেই হাড়ের ভাঙা অংশ জোড়া লেগে যায়। এ কাজটি ডাক্তারই করে দেবেন।
- কলার অ্যান্ড কাফ স্লিং দেওয়া অবস্থায় হাতের কব্জি নড়াচড়া করতে হবে, তা না হলে হাতের জোর কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে হাতে ছোট বল বা টেনিস বল দিয়ে নাড়াচাড়া করলে ভালো মুভমেন্ট হয়।
- তবে এই হাড় যদি আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে বা কোনো কারণে হাড়ের ভাঙা প্রান্তদ্বয় সংস্পর্শে না আসে বা জোড়া না লাগে, সে ক্ষেত্রে অপারেশন করে হাড় জোড়া লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
কী করবেন না
- ভাঙা জায়গায় মালিশ করবেন না।
- চার সপ্তাহের আগে ‘কলার অ্যান্ড কাফ স্লিং’ খুলে ফেলবেন না।
- ডাক্তার হাতটিকে যে অবস্থায় রাখতে বলবেন, সে অবস্থান থেকে হাত নাড়বেন না।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।