নতুন বছর থেকে শুরু হোক ফিট থাকার মিশন
পুরাতনকে নতুন করে সাজাতে আমরা অধীর আগ্রহে বসে রয়েছি নতুন বছরের অপেক্ষায়। নতুন বছরে নানা আয়োজনের মধ্যে সুস্বাস্থ্যের দিকেও আমাদের নজর দেওয়া উচিত।
কেউ কেউ উচ্চতার তুলনায় বেশি ওজন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েন, আবার কেউ কেউ উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের কারণে থাকেন অস্বস্তিতে। প্রকৃতপক্ষে ওজন বেশি বা কম কোনোটাই স্বস্তিদায়ক নয়। তাই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু করুন উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজনের মিশন। অন্য কথায় বলতে গেলে ফিট থাকার মিশন। সামান্য কয়েকটি বিষয় মেনে চললে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
যাঁরা ওজন কমাতে চান
# ডায়েট করছি ভেবে কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকালের নাশতা সময়মতো খেতে হবে।
# খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
# বর্তমান ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে কার্বোহাইড্রেট পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
# ভাতের পরিবর্তে সকাল আর রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
# চিনি, কোল্ড ড্রিংকস, চা, কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।
# রান্নায় তেল কম ব্যবহার করুন, ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রাতের খাবার সাড়ে ৮টার মধ্যে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
# খাবার তালিকায় কম ফ্যাটের দুধ, টক ফল, মাছ, ডিম, সালাদ, ভুসিসমেত আটার রুটি রাখার চেষ্টা করুন।
# দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।
ওজন বাড়ানোর পরামর্শ
# দৈনিক তিনবেলা প্রধান খাবারের পাশাপাশি সকালে নাশতার পর, বিকেলের নাশতা ও রাতে ঘুমানোর আগেসহ মোট ছয়বেলা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করুন।
# ভাত, কলা, মুরগির মাংস, দুধ, ছানা, খেজুর, আলু এগুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় এগুলো রাখার চেষ্টা করুন।
# ফাস্টফুড, চিনি, চকলেট এগুলো না খেয়ে বাসার তৈরি খাবার গ্রহণ করুন।
# খাবারের রুচি কমিয়ে দেয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন, যেমন—চিপস, চা, কফি, চকলেট ইত্যাদি।
# খালি পেটে থাকা, রাত জাগা ইত্যাদি অভ্যাস ত্যাগ করুন।
# ধূমপান ওজন কমায়, তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
# হাঁটলে বা খেলাধুলা করলে ক্ষুধা বাড়ে, তাই নিয়মিত হাঁটুন এবং খেলাধুলা করুন।
অতিরিক্ত ওজন কিংবা কম ওজনের যে কারো স্বাভাবিক কর্মদক্ষতা কমে যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই নতুন বছরে আমাদের প্রথম চাওয়া হোক উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন। এটি আমাদের সুস্থ রাখবে, রাখবে রোগ থেকে দূরে।
লেখক : পুষ্টিবিদ, থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ।