বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯ ও আমাদের ভাবনা
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। এ কারণেই এটিতে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। আমরা জানি, সুস্বাস্থ্যই সুস্থ ও সতেজ জীবনের চাবিকাঠি।
আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ ফর প্রাইমারি হেলথ কেয়ার উইথ এ ফোকাস অন ইক্যুয়িটি অ্যান্ড সলিডারিটি’। এর অর্থ হলো, সমতা ও সংহতিনির্ভর সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মানুষের ভালো স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা হলো দারিদ্র্য ও সচেতনতার অভাব। আসলে একটি দেশের মানুষকে সম্পদে পরিণত করতে স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৮২ দশমিক ৩ শতাংশ টিকার আওতায় এসেছে এবং গড় আয়ু ৭২ দশমিক আট বছরেরও বেশি। যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ দূর করতে বাংলাদেশ চমৎকার সাফল্য লাভ করেছে। তবে দেশে অসংক্রামক ব্যাধি, যেমন— স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, ক্যানসার, হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসারের প্রকোপ বাড়ছে।
এসব অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি সবার জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ, নিরাপদ খাবার। কারণ, খাদ্য নিরাপদ না হলে তা আর খাদ্য থাকে না। হয়ে যায় বিষ। এই অনিরাপদ বিষাক্ত খাদ্য থেকে সৃষ্টি হয় অসংক্রামক ব্যাধি।
একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে দাঁড়াতে আমাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। আর তা নিশ্চিত করতে পারে কেবল বিশুদ্ধ খাবার। অনিরাপদ বিষাক্ত খাদ্য মানবদেহে খাদ্যনালি, ত্বক, মূত্রথলি, অস্থিমজ্জার এবং ফুসফুসে ক্যানসার সৃষ্টি, লিভার ও কিডনি অকেজো করে দেওয়া, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বহু প্রাণঘাতী রোগের কারণ।
এতে ক্ষতি হচ্ছে মানুষের। তাই আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯-এ বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রতিশ্রুতি হোক সবার।
লেখক : সভাপতি, বিশুদ্ধ খাদ্য চাই এবং সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।