কীভাবে চুলপড়া কমাবেন?
চুলপড়া বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা। তবে দৈনিক ১০০টি চুল পড়লে তা স্বাভাবিক। এর চেয়ে বেশি চুলপড়াকে অস্বাভাবিক ধরা হয়।
সাধারণত বংশগতি, ভিটামিনের ঘাটতি, রক্তস্বল্পতা, সঠিক পরিচর্যার অভাব ইত্যাদি কারণে চুল পড়ে। চুলপড়া সমস্যার সমাধানে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত স্কিন স্কয়ার চর্মরোগ বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার নির্বাচনের কোনো বিষয় রয়েছে কি? এটা যদি ঠিক মান সম্পন্ন না হয়, তাহলে কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর : আমরা ঐতিহ্যগতভাবে নারকেল তেল ব্যবহার করি। অনেক সময় তেলের মধ্যে বিভিন্ন ভেষজ দেওয়া হয়। এগুলো কিন্তু ঠিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো বলে নারকেল তেলই ভালো।
কন্ডিশনার দেওয়া হলে চুল ভালো থাকে। যেকোনো শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুণগত মান ও কার জন্য কোনটি দিলে ভালো হয়, সেটি দেখে নিতে পারলে ভালো।
যদি চুল তৈলাক্ত ও নরম থাকে, নাইবা দিল কন্ডিশনার বা নারকেল তেল। তবে রুক্ষ্মতা থাকলে চুল বেশ শক্ত ও ফ্যাকাশে হয়ে গেলে, সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রশ্ন : চুলপড়া প্রতিরোধে করণীয় কী?
উত্তর : চেম্বারে যখন রোগীরা আসে আমরা নিজেরাই জিজ্ঞেস করি, আপনার চুল কীভাবে পড়ছে। একশর ওপরে চুল পড়লে আমরা ধরে নিই কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। প্রতিদিন ১০০ চুল।
এ ছাড়া রোগীদের জিজ্ঞেস করি, চুল ভেঙে যাচ্ছে, না কি গোঁড়া থেকে ওঠে যাচ্ছে। গোঁড়া থেকে ওঠলে সাদা একটা হেয়ার ভাল্ভ ওঠে চলে আসে। কোনো কোনো সময় রোগী বলে আমার মাঝখান থেকে চুল পড়ে যাচ্ছে। এটি চুলের পরিচর্যার তারতম্যের কারণে হয়। অথবা রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে হয়। যদি গোঁড়া থেকে যায়, তাহলে আমরা বলি ভিটামিনের স্বল্পতার কারণে হচ্ছে। অথবা কোনো রোগ রয়েছে কি না। তখন চুলের গোড়ায় চামড়াগুলো দেখি। ফাঙ্গাসের কোনো লক্ষণ দেখলে আমরা এর পরীক্ষা করি। সেই অনুযায়ী ফাঙ্গাস থাকলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ দেই।
এ ছাড়া অন্য কোনো রোগ থাকলে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসা করি। আয়রন বা ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে সে ক্ষেত্রে আমরা রক্ত পরীক্ষা করতে যাই। হিমোগ্লোবিন দেখি। হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করি।