বিষণ্ণতায় বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/20/photo-1432122323.jpg)
বিষণ্ণতা বয়স্কদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো চলে যাওয়ার পরও এ সমস্যা হতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডি প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়। গবেষণাটি করা হয় বিষণ্ণতা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির ওপর। গবেষণাটিতে এর প্রভাব এবং কারণ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়।
বিষণ্ণতার কারণে স্ট্রোক হতে পারে, এই বিষয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ হাজার নারী ও পুরুষের ওপর এই গবেষণা করা হয়। যেসব রোগীদের প্রথম সাক্ষাতে বিষণ্ণতা ছিল, তাদের এর লক্ষণ চলে যাওয়ার পরও, দ্বিতীয় সাক্ষাতে ৬৬ শতাংশের স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়ে গিয়েছিল।
হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক পাওলা গিলসানজ জানান, কারো স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকলে চিকিৎকদের বিষণ্ণতা বিষয়ে অনুসন্ধান করে এর চিকিৎসা করা উচিত।
আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, বিষণ্ণতা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্নায়ুর অস্বাভাবিকতা তৈরি করে এবং প্রদাহ বাড়ায়।
গবেষকরা আরো বলেন, বিষণ্ণতা সংক্রমণ তৈরি করে এবং অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন হয়। এই অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনকে বলা হয় আট্রিয়াল ফিবরিল্যাশন, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বিষণ্ণতার ফলে অনেকেই ধূমপান করেন এবং ব্যায়াম কম করেন। এর ফলেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বিষণ্ণতায় বেশি আক্রান্ত হন নারীরা।
গবেষকরা বলেন, গুরুতর বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তবে বিষণ্ণতার সফলতম চিকিৎসাও রয়েছে। তাই এর দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত। এতে করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। বিষণ্ণতার চিকিৎসা কিছুটা জটিল হলেও ভালো খবর হলো কগনিটিভ বিহেইভিয়ার থেরাপি দিয়ে এর ভালো চিকিৎসা করা সম্ভব। এ জন্য বিষণ্ণতায় ভুগলে দ্রুত মানসিক চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয় অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে।